কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ : যা বললেন কাদের মির্জা ও বাদল
- নোয়াখালী অফিস
- ১৯ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬) পৌর মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা গুলি করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার এমন অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান বাদল।
ওই ঘটনার দেড় ঘন্টা পর, সোমবার দুপুর পৌনে ২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে ফেসবুকে লাইভে আসেন মিজানুর রহমান বাদল। ফেসবুকের লাইভে এসে তিনি এ অভিযোগ করেন। এখানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি প্রমুখ।
ফেসবুক লাইভে মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করে বলেন, আজ সকালে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে কাজ শেষ করে বসুরহাট বাজারে যাওয়ার পথে কাদের মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে ও কাদের মির্জার নির্দেশে এ বয়োবৃদ্ধ আ’লীগ নেতাকে নৃশংসভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের নিচে গুলি করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তার হাঁটু ভেঙ্গে চুরমাচুর হয়ে নিচের দিকে দেবে গেছে। কাদের মির্জা কয়েক দিন আগে ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃত্বে যারা আছে তাদেরকে যেখানে পাবেন হাঁটুর নিচে দিয়ে ভেঙ্গে ফেলবেন, তাদের চুরমাচুর করে ফেলবে। তার ওই দিক নির্দেশেনা অনুয়ায়ী গতকাল রাত থেকে আমাদের নেতাদেরকে হত্যা করার মিশনে নেমেছে তার সাথীরা। মানুষের কারণে নুরনবী চৌধুরী প্রাণেরক্ষা পেয়েছেন, নয়তো তিনি প্রাণে রক্ষা পেতেন না।
তিনি বলেন, নুরনবী চৌধুরীর ওপর হামলার খবর শুনে বসুরহাট বাজারে আসার পথে আ’লীগ নেতা স্বপনের ওপরও কাদের মির্জার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে নৃশংসভাবে হামলা হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী ও আ’লীগ নেতা স্বপনের ওপর হামলার বিচার যদি আজকে দিনের মধ্যে না হয়। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা যদি না করা হয়, তাহলে কোম্পানীগঞ্জের আপামর জনতাদের নিয়ে রাজ পথে নেমে আমরা এটার বিচার করব। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী, ওবায়দুল কাদের ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেন অনতিবিলম্বে এটার সমাধান হয়। যেন সন্ত্রাসীদের সঠিক বিচার হয়। তা না হলে আমরা প্রতিরোধ করতে আসলে অনেকে আমাদেরকে খারাপ বলবে।
অপরদিকে, এ ঘটনার পর দুপুর ২টার দিকে কাদের মির্জা তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে দাবি করেন, আজকে সকাল বেলা সিরাজপুরের এক কুলাঙ্গার চেয়ারম্যান তথাকথিত চেয়ারম্যান, যে মানুষের শালিসের নামে বাড়ির ভিটি পর্যন্ত বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যে গরিব অটোরিকশার ড্রাইভারদের আমি আড়াই হাজার টাকা করে অটোরিকশার ল্যাইন্সেস দিয়েছি ওই রকম ৬০টা লাইসেন্স তিনি আমার থেকে নিয়েছেন। তিনি প্রত্যেকটা লাইসেন্সে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারপর ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা থেকে টাকা নিয়েছেন। স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন। তারপরে প্রাইমারি স্কুলের দু’টি পিয়নের চাকরি দিতে তিনি টাকা নিয়েছেন। এমনিভাবে এলাকায় লুটপাট করছেন। গত কয়েক দিন আমি শুনতেছি, তারা টাকার জন্য যাকে তাকে ধরবেন। তারা এমন অবস্থায় গেছেন টাকার জন্য। এখন টাকার জন্য তাদের মধ্যে মারামারি হইছে। এখন এটা আমার ওপর, আমার কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা