২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরে রেড-ইয়োলো জোন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনা সংক্রমণ লাগামহীন হওয়ায় চট্টগ্রাম নগরে এলাকাভিত্তিক রেড ও ইয়োলো জোন ঘোষণা করে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সংক্রমণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সিএমপি এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার( দক্ষিণ) বিজয় বসাক।
একইসাথে সোমবার থেকে করোনা প্রতিরোধে এসব পদক্ষেপগুলো কঠোরভাবে কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।

রেড জোন চিহ্নিত এলাকা : নগরীর চকবাজারের জয়নগর এক নম্বর গলি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্টাফ কোয়ার্টার, খুলশী থানার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে এসবি নগর, ওয়ার্লেস, কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা, ১৪ নম্বর লালখানবাজার ওয়ার্ডে টাংকির পাহাড়, বাঘঘোনা, হাইলেভেল রোড।

ইয়োলো জোন চিহ্নিত এলাকা : গোসাইলডাঙ্গা, পশ্চিম মাদারবাড়ি, পূর্ব মাদারবাড়ি, ফিরিঙ্গিবাজার, পাথরঘাটা, দক্ষিণ বাকলিয়া, বক্সিরহাট, দক্ষিণ পাহাড়তলী, উত্তর পতেঙ্গা, দক্ষিণ পতেঙ্গা সহ ১২ টি ওয়ার্ডে ইয়োলো জোন ঘোষণা। বাকি ২৯টি ওয়ার্ডে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুব জরুরি ছাড়া কাউকে বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না পুলিশ। সব ধরনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হতেও অনুমতি লাগবে পুলিশের। সকলকে আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বাসায় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে সোমবার সকাল থেকে মাইকিংও করা হয়েছে।

এইসব বিষয়ে সিএমপির বিশেষ শাখার উপকমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ‘কোনো এলাকায় করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় প্রতি লাখে ৬০ জনের বেশি হলে, সেই এলাকাকে রেড জোন ধরা হবে। ৩ থেকে ৫৯ জন হলে ইয়োলো জোন, এ আলোকে নগরের বিভিন্ন এলাকা আমরা ভাগ করে কাজ করছি।
সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রেড জোনের বাসিন্দারা অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রয়োজন হলে, পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement