২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, গণধোলাইয়ে ব্যক্তি নিহত

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, গণধোলাইয়ে ব্যক্তি নিহত - ছবি : নয়া দিগন্ত

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সুমি (৪২) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে রাছেল নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

ওই গৃহবধূ কাতার প্রবাসী সফিউল্যাহর স্ত্রী ও রাছেল মিয়া একই এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি একজন কাঠমিস্ত্রি। এ সময় হামলায় নাসরিন আক্তার সুমির ছেলে নাঈমুর রহমান ও রানু বেগমসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

রোববার সকাল ৯টার দিকে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের জাফরনগর গ্রামের উত্তর ভূঁইয়া বাড়িতে কাতার প্রবাসী সফিউল্লাহর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

হত্যার শিকার গৃহবধূর ছেলে নাঈমুর রহমান বলেন, আমি সকালে ঘুমে থাকা অবস্থায় পাশের বাড়ির আনোয়ার হোসেন মোল্লাসহ একই এলাকার বলী মোল্লা বাড়ির রাছেল ঘরের দরজা খুলে দিতে আমার মাকে ডাক দেয়। এ সময় তাদের ডাকাডাকিতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমার মা প্রথমে দরজা না খুললেও পরে আনোয়ার মোল্লাকে দেখে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে রাছেল মিয়া ঘরে ঢুকেই আমার মায়ের গলায় ছুরি ধরে। এ সময় আমার এক চাচিসহ আমি আমার মাকে উদ্ধার করতে গেলে রাছেল মিয়া আমাদের দু’জনকে কুপিয়ে আহত করে।

আমার চিৎকারে চৌকিদারসহ এলাকাবাসী ছুটে এলে রাছেল মিয়া সবার সামনে আমার মাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আমি দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে সামনের ও পেছনের দরজাসহ ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলে ঘরের ভেতরে আটকা পড়ে রাছেল মিয়া। রাছেল মিয়াকে আমাদের বসতঘরের ভেতরে আটকে রেখে বাড়ির লোকজনসহ আমি আমার মাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ সময় আমরা খবর পাই গ্রামবাসী আমাদের ঘরের দরজা ভেঙে আমার মায়ের হত্যাকারী রাছেল মিয়াকে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্তে জেনেছি নাসরিন আক্তার সুমির সাথে রাছেল মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিলো। নাসরিন বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে রাছেল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে নাসরিন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাছেল মিয়াকে গণপিটুনি দিলে রাছেলও মারা যায়। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement