২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কোম্পানীগঞ্জে ফের কাদের মির্জা ও বাদল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০

কোম্পানীগঞ্জে ফের কাদের মির্জা ও বাদল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০ - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফের পৌরমেয়র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারীরা ত্রাণবিতরণ শেষে বসুরহাট বাজারে আসে। তখন মির্জা অনুসারী শাহদাত সিফাত বসুরহাট পৌরসভা ভবন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের অকথ্য ভাষায় চরিত্রহনন করে বক্তব্য দেয়। তার এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা বসুরহাট বাজারে থানার সামনে জড়ো হয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। খবর পেয়ে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা পৌরসভা থেকে তাদের অনুসারীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট হয়ে থানার সামনে মুখোমুখি অবস্থান নিলে দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মির্জা অনুসারী রাসেল ওরফে কেচ্ছা রাসেল গুলি ছুঁড়লে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আরমান (৪৩), মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা (২৯), মিরাজসহ (৩৩) অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ দিকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে মির্জা অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ অনুসারী তার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতের থানা সংলগ্ন বাসায় ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ রাহাতের বাসা থেকে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় আবারো বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আবদুল কাদের মির্জা, অপর গ্রুপে রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, কাদের মির্জার ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতসহ কয়েকজন নেতা।

ইতোমধ্যে বিবাদমান দু’গ্রুপের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির, শ্রমিকলীগ নেতা আলা উদ্দিন নিহত হয়েছেন। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় দু’গ্রুপ একে অপরকে আসামি করে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করে। প্রায় প্রতিদিন প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি

সকল