২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৈকতে ভেসে আসা ২ তিমি কঙ্কাল সংরক্ষণের উদ্যেগ

সৈকতে ভেসে আসা ২ তিমি কঙ্কাল সংরক্ষণের উদ্যেগ - ছবি- সংগৃহীত

কক্সবাজার হিমছড়ি ও দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকতে মৃত দু’টি তিমি ভেসে আসার পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী শনিবার তিমি দু’টি সৈকতে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। পরপর দু’দিন কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ভেসে উঠে দু’টি মৃত তিমি। প্রতিটি তিমির ওজন অনুমানিক ১০ টনের বেশি হবে।

শনিবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় রামুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমার তত্ত্বাবধানে গর্ত খুড়ে মাটি চাপা দেয় হয় তিমি দু’টি।

তিমি দু’টি অন্তত ১৫ দিন আগে মারা গেছে বলে ধারণ করা হচ্ছে। ভেসে আসা মৃত তিমি থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এ কারণে মাটি চাপা দেয় হয়।

জেলা প্রশাসন বলছে, দু’মাস পর তিমির কঙ্কাল মাটি থেকে তুলে পর্যটকদের জন্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যাবে। এজন্য মৃত তিমি পুঁতে রাখা হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুরে হিমছড়ি সৈকতে প্রথম ভেসে আসা তিমিটি দেখতে পান স্থানীয়রা। অপর দিকে শনিবার সকালে দরিয়ানগর সমুদ্র সৈকত আরো একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখার জন্য স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায়। পরে মাটি চাপা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।

তিমির কঙ্কাল সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত নতুন নয়। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা জানিয়েছেন, ৮০-এর দশকে আসা তিমির কঙ্কালও সংরক্ষণ করা হয়েছিল। লাবণি পয়েন্টে সামুদ্রিক প্রাণী গবেষণা কেন্দ্রে তখন সংরক্ষণ করা হয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement