২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে ৬ বছরের শিশুকে হত্যা

হত্যাকারী আলাউদ্দিন (বায়ে), হত্যার শিকার আশ্রাফুল (ডানে) - ছবি- সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগে মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে মো: মিজানুর রহমান আশ্রাফুল (৬) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘাতক আলাউদ্দিন হত্যার এ বর্ণনা দিয়েছেন। পরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।

বুধবার দুপুর ৩টায় গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের জিতু সওদাগর বাড়ি থেকে ঘাতক আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ওই বাড়ির মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।

ওসি আবদুল বাতেন বলেন, আসামি আলাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিশু আশ্রাফুল হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নোয়াখালীর আমলী আদালত-৪-এর বিচারক নবনিতা গুহের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি শিশু আশ্রাফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ তেলিপুকুর পাড় এলাকার খালপাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন আরো বলেন, আশ্রাফুলের মা হাজরা খাতুনের সাবেক স্বামী আলাউদ্দিন। শিশু আশ্রাফুলের মা তথা তার সাবেক স্ত্রী হাজরার ওপর প্রতিশোধ নিতেই শিশুটিকে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, আলাউদ্দিন ও হাজরার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু আলাউদ্দিন হাজরা খাতুনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এর জের ধরে এ হত্যা করা হয়।

লাশ উদ্ধারের এক দিনের মাথায় পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও দাবি করেন সেনবাগ থানার ওসি।

এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নজরপুর গ্রামের তেলিপুকুর এলাকার একটি বাগান থেকে শিশু আশ্ররাফুলের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আশ্রাফুল উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের আবুল কাশেম মীরের ছেলে। শিশুটি স্থানীয় গাজীরহাট সানরাইজ একাডেমির প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এর আগে ২ এপ্রিল সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল আশ্রাফুল। একই দিন রাতে তার বাবা থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেন। এর তিন দিন পর সোমবার সন্ধ্যায় তেলিপুকুর এলাকার বাগানে শিশুটির লাশের সন্ধান মিলে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।


আরো সংবাদ



premium cement