২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অন্ধ হাফেজের সাফল্য গাঁথা অধ্যায়, পাগড়ি নিলেন ১০ অন্ধসহ ২০০ হাফেজ-হাফেজা

অন্ধ হাফেজের সাফল্য গাঁথা অধ্যায়, পাগড়ি নিলেন ১০ অন্ধসহ ২০০ হাফেজ-হাফেজা - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের অন্ধ হাফেজ মুরশেদুর রহমান। ১৯৮১ সালে কক্সবাজার সদরের পোকখালীর গোমাতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মগতভাবে অন্ধ এই হাফেজ মুরশেদের জীবনে রয়েছে অনেক সাফল্য গাঁথা অধ্যায়। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীসহ প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান তিনি।

শুক্রবার ছিল হাফেজ মুরশেদের প্রতিষ্ঠিত হেফজখানা ও এতিমখানার ১০তম বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী অনুষ্ঠান। এই মাহফিলে তার প্রতিষ্ঠিত ‘আন নুর হেফজখানা ও এতিমখানা’ থেকে গত ১০ বছরে হেফজ সমাপ্তকারী ২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে দস্তারে ফজিলত বা পাগড়ি দেয়া হয়। এ উপলক্ষে সদর উপজেলার কাছে জানারঘোনা এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত হেফজখানা ও এতিমখানায় আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিল ও সুধী সমাবেশ। সমাবেশে ওই ২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে পাগড়ি দেয়া হয়।

জন্মান্ধ হাফেজ মুরশেদ বলেন, ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে (১৯৯৬ সালে) পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়া থেকে তিনি হেফজ শেষ করে সেখানে পড়ালেখা শুরু করেন। এর পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে ‘মাদরাসায়ে আন নুর ফর দি ব্লাইন্ড’-এ দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। সেখানে তিনি হাদিস শাস্ত্র, কম্পিউটার ও ব্রেইল শিক্ষা অর্জন করেন।

২০০৩ সালে তিনি আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনেন। ওই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৯০টি দেশের হাফেজরা অংশগ্রহণ করলেও হাফেজ মুরশেদ তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। ডারবান থেকে দেশে ফিরে তিনি কক্সবাজার শহরতলীর সদর উপজেলার কাছে জানার ঘোনায় প্রতিষ্ঠা করেন ‘আন নুর হেফজখানা ও এতিমখানা।’

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনতলা বিশিষ্ট নিজস্ব ভবনে ওই মাদরাসায় হেফজ বিভাগ, নুরানী ও এতিমখানায় কয়েক শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। হেফজ বিভাগে ১০০ ছাত্র, ৫০ জন ছাত্রী, নুরানী বিভাগে ১০০ ছাত্র-ছাত্রী পড়া লেখা করছে। এর মধ্যে ৩০ জন অন্ধ শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে পাঁচজন নারীসহ ১৭ জন শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন।

শুক্রবার যে ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাগড়ি দেয়া হয়েছে তার মধ্যে পাঁচজন ছাত্রী এবং ১০ জন অন্ধ হাফেজ ও রয়েছে।

হাফেজ মুরশেদের শিক্ষক পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়ার ক্বেরাত ও হেফজ বিভাগের প্রধান ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুচ ছমদ জানান, হাফেজ মুরশেদ অন্ধ হয়েও বসে থাকেনি। তিনি নিজে স্বাবলম্বী হয়ওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরকেও স্বাবলম্বী করছেন, এটি অনেক বড় কথা।

এ ব্যাপারে হাফেজ মুরশেদ বলেন, তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় তিনি এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আগামীতে রয়েছে আরো অনেক পরিকল্পনা। তার এই কার্যক্রম পরিচালনায় দেশ-বিদেশের দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সু-নজর কামনা করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি

সকল