২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মহেশখালীর অপহৃত কিশোরকে ৩ মাস পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার

মহেশখালীর অপহৃত কিশোরকে ৩ মাস পর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা থেকে অপহৃত এক কিশোরকে তিন মাস পরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মহেশখালী সার্কেলের নির্দেশে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: আশিক ইকবালের সহযোগিতায় এসআই মো: মফিজুল ইসলাম ও এএসআই আলী আকবর ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম মোজাহিদ মিয়াকে (১৬) উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

অপহৃত কিশোরকে উদ্ধারের পরে বুধবার দুপুর ১টার দিকে মহেশখালী থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম মহেশখালী সার্কেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল হাই ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: আশিক ইকবাল।

প্রেস ব্রিফিংকালে সহকারী পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেন, মহেশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে এজাহার নামীয় এক নম্বর আসামি রোজিনা আক্তারকে (২৭) কক্সবাজার পুলিশের হেফাজতে জিঙ্গাসাবাদ করে জানা যায়, ভিকটিম মো: মোজাহিদ উখিয়া থানাধীন কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছে। পরে আসামির দেয়া তথ্য মতে রাত-দিন অভিযান পরিচালনা করে উখিয়া থানার কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা বসির আহামদের (৪০) বসত ঘর থেকে মোজাহিদকে উদ্ধার করা হয়।

পরে ভিকটিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রামে ইব্রাহিম নামের এক ব্যক্তির কাছে ভিকটিম কাজ করতেন। ইব্রাহিম কৌশলে তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে রোহিঙ্গা বসির আহামদকে বুঝিয়ে দেন। রোহিঙ্গা বসির আহামদ তার সহযোগী রোহিঙ্গা আসামি মো: আমিন আনুমানিক তিন মাস ধরে ভিকটিমকে বসির আহামদের ঘরে আটক করে রেখেছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনারমূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই।


আরো সংবাদ



premium cement