১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে যান, যা পরামর্শ দিল পুলিশ

ঘন কুয়াশায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে যান, যা পরামর্শ দিল পুলিশ - ছবি : নয়া দিগন্ত

শীতের তীব্রতার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা চারিদিক ঘিরে ফেলে। রাত বাড়ার সাতে সাথে ক্রমেই ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায় মাঠ-ঘাট, সড়ক-মহাসড়ক। এমন ঘন কুয়াশার মধ্যেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থবির হয়ে পড়েছে যান চলাচল। সপ্তাহের শুরুতেই বেড়েছে কুয়াশার তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঝাপসা হয়ে গেছে মহাসড়কের চারপাশ। ফলে মহাসড়ককে সব ধরণের যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেখা গিয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও।

(২৪ জানুয়ারী ) সকাল ১০টা পর্যন্ত কুমিল্লা অংশে সূর্য্যরে দেখা মিলেনি। রাত গড়িয়ে সকাল হলেও ঘন কুয়াশায় বুঝার উপায় ছিল না, দিন আর রাতের ব্যবধান।

বিশেষ করে মহাসড়কের যেসব এলাকায় গাছপালা নেই বা আশে-পাশে বাড়ি-ঘর নেই সেইসব নির্জন জায়গাগুলোতে কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে বড় জলাশয়গুলোতে ঘন কুয়াশায় মহাসড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। সেইসব এলাকাগুলোতে ফগ লাইটও বিফল।

কক্সবাজার থেকে ফেরা শ্যামলী পরিবহনের চালক জানান- রাত ১১ টায় কক্সবাজার থেকে রওয়ানা করেছি। অন্যান্য সময় কুমিল্লা আসতে ৬ ঘন্টা সময় লাগে। আজ ১০ ঘন্টা পর কুমিল্লা পৌঁছেছি। যেখানে ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসতাম এখন ৪০ কিলোমিটার গতিতে চালাতেও কষ্ট হচ্ছে। এমন কুয়াশা ফগ লাইট জ্বালিয়েও ১০-১৫ ফুট সামনেও তেমন ভাল দেখা যায় না।

হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (ইন্সপেক্টর) সালেহ্ আহমেদ জানান- ফাঁকা জায়গাগুলোতে কুয়াশার তীব্রতা বেশি দেখা যাচ্ছে। চালকরা তখন সড়কের পাশে সাইড লাইন বুঝা যায় না। অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কখনও রোড ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা লাগছে আবার কখনও সাইড লাইন অতিক্রম করে গাড়ি সড়ক থেকে ছিটকে পড়ার আশংকা। তবে এখন পর্যন্ত এ এলাকায় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা গাড়ি চালকদের ফট লাইট ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন জানান- তীব্র কুয়াশার দুর্ঘটনা রোধে সামনে দেখার জন্য যেমন ফগ লাইট ব্যবহার জরুরী, তেমনি পেছনের চালকরাও আপনার গাড়ি দেখার সুবিধার্থে বেক লাইট জ্বালিয়ে রাখাও তদ্রুপ গুরত্বপূর্ণ। এসব নিশ্চিত করতে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement