১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতীয় বীজের কপি চাষ করে বিপাকে কৃষক

ভারতীয় বীজের কপি চাষ করে বিপাকে কৃষক - ছবি : নয়া দিগন্ত

মিরসরাইয়ে ভারতীয় দেবগিরী ও বঙ্গিম জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করে বিপাকে পড়েছে এক কৃষক। রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে ফলন আসার কথা থাকলেও আসেনি ৯০ দিনেও। ফলে প্রায় ৭ হাজার ফুলকপি ও বাঁধাকপি গাছ নিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম জোয়ার গ্রামের কৃষক শরিয়ত উল্ল্যাহ।

করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম জোয়ার গ্রামের কৃষক শরিয়ত উল্ল্যাহ জানান, তিন মাস আগে করেরহাট বাজারের `কাশেম বীজ ভান্ডার' থেকে প্রায় ৭ হাজার বীজ এনে ২০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেন। বীজ বিক্রির সময় মালিক আবুল কাশেম বলেছিলেন এগুলোর ভারতীয় বীজ। আগামী ৬৫ দিনের মধ্যে গাছের ফলন আসবে। তাই দেশীয় বীজ থেকে ভারতীয় বীজের দাম একটু বেশি হবে।

তাড়াতাড়ি ফলন ও লাভের আশায় বেশি দামে কাশেম বীজ ভান্ডার থেকে বীজ ক্রয় করেন শরিয়ত। কিন্তু বীজ রোপনের তিন মাস অর্থ্যাৎ ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও গাছে ফল আসেনি। কবে আসবে তারো কোন নিশ্চয়তা নেই।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী থেকে টাকা ধার নিয়ে তিনি ২০শতাংশ জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন। এখন ধারের টাকা পরিশোধ করতে পাওনাদার তাকে চাপ দিচ্ছে।

কৃষক শরিয়ত উল্ল্যার প্রতিবেশী অহিদুর নবী শোভন জানান, শরিয়ত উল্ল্যা তাদের জমি বর্গা চাষ করে। প্রায় ৩ মাস আগে টাকা ধার নিয়ে ফুলকপি ও বাঁধা কপি চাষ করেছেন। কিন্তু এখনো ফলন আসেনি। তাই পাওনাদারের টাকা ফেরত দিতে পারছেন না তিনি।

সরেজমিনে দিয়ে করেরহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিমজোয়ার গ্রামে শরিয়ত উল্ল্যার কপি ক্ষেতে গিয়ে দেখা, হাজার হাজার ফুলকপি ও বাধাকপি গাছ দাঁড়িয়ে আছে। কোন গাছে ফলন আসেনি। কপি ছাড়াও শরিয়ত উল্ল্যাহ প্রায় এক একর জমিতে বেগুন, শীম, বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করেছেন।

এ বিষয়ে কাশেম বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আবুল কাশেম জানান, তিনি ফেনী শহরের একটি বীজ ভান্ডার থেকে ভারতীয় দেবগিরী ও বঙ্গিম জাতের ফুলকপি-বাঁধা কপির বীজ কিনে এনে বিক্রি করছেন। প্যাকেটের গায়ে ৬৫ দিনের মধ্যে ফলন আসার কথা লিখা থাকলেও কেন ফলন আসেনি তিনি তা জানেন না। তবে কৃষক শরিয়ত উল্ল্যাকে তার (আবুল কাশেম) সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।

মিরসরাই উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম জানান, করেরহাটে বীজ বপনের ৯০ দিন পরও কপির ফলন না আসার বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে করেরহাট ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারীদের মাধ্যমে তিনি খোঁজ খবর নেবেন বলে জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল