২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হিংসা-বিদ্বেষ কখনো শান্তি আনতে পারে না : বীর বাহাদুর উশৈসিং

হিংসা-বিদ্বেষ কখনো শান্তি আনতে পারে না : বীর বাহাদুর উশৈসিং - নয়া দিগন্ত

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, হিংসা বিদ্বেষ সংঘর্ষ সংঘাত কখনো শান্তি আনতে পারে না। একমাত্র মৈত্রিময় অবস্থানই পারে পার্বত্যাঞ্চলে মানুষে মানুষে সম্প্রিতির বন্ধন মজবুত করতে। আমরা সংঘর্ষ চাই না, মৈত্রি চাই। শান্তি, মৈত্রি ও সম্প্রিতি থাকলে পার্বত্যাঞ্চল এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, পাহাড়ের ক্রীড়াঙ্গনে বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন হলে এখানকার মানুষে মানুষে আত্মার বন্ধন তৈরি হবে।

শুক্রবার রাতে রাঙ্গামাটি চিং লা মং মারী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু অ্যাডভেঞ্চার উৎসব ২০২১-এর পুরষ্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, খেলাধুলায় অংশ নিতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মা-বাবাসহ এখানে চলে এসেছে। এটিই সম্প্রিতির পার্বত্যাঞ্চল। শেখ হাসিনার কারণে পার্বত্যাঞ্চল মৈত্রির অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। যারা আজ খেলায় অংশ নিয়েছে তারা পার্বত্যাঞ্চলের দূতের ভূমিকা রাখবে। পার্বত্যাঞ্চলের সম্প্রিতির বন্ধন চারিদিকে ছড়িয়ে দিবে।

মন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে শান্তি চুক্তির কারণে এখানে শান্তি ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ও পিছিয়ে নেই। পাহাড়ের বাসিন্দাদের আত্মসামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে।

তিনি জানান, দেশের উন্নয়নে তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তরুণদের মাঝে সাহস ও দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এ অ্যাডভেঞ্চারের মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেভাবে তরুণরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, তেমনি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার (এনডিসি) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, তথ্য কমিশনের সচিব সুদত্ত চাকমা, জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মীর মোদাছছের হোসেন।

পার্বত্য মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তার কার্যক্রমের মাধ্যমে সফল হয়েছে। বোর্ডের মাধ্যমে সরকার ৪০ হাজার সোলার বিতরণ করবে। এর মধ্যে ১১ হাজার সোলার বিতরণ করা হয়েছে। যাতে পাহাড়ের দুর্গম মানুষ অন্ধকারাছন্ন না থাকে।

মন্ত্রী আরো বলেন, পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে সরকার উন্নত শিক্ষাগ্রহণ করতে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ স্থাপিত করেছে।

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় নয়, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবো। দেশ ও সমাজের জন্য সম্পদে পরিণত হবো। পড়ার কোনো বিকল্প নেই। নকলের দিন শেষ। খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা কাছে টানে।

এ সময় মন্ত্রী প্রতিযোগীদের খাবারের জন্য এক লাখ টাকা, আয়োজকদের জন্য দুই লাখ টাকা, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াদের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করেন।

মন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারবর্গ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

অনুভূতি ব্যক্ত করেন, প্রতিযোগী রাঙ্গামাটির মেয়ে মুন দেওয়ান, বরিশাল থেকে আগত তৌহিদুল ইসলাম, বান্দরবানের জেরিৎ বম, নওগাঁ থেকে ওয়াহিদা বিনতে রোকন। বক্তব্য পরবর্তী অংশ গ্রহণকারী প্রতিযোগিদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এরপর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement