২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
সুবিধার অপব্যবহার :

চট্টগ্রাম বন্দরে দেড় কোটি টাকার পর্দা ও সোফার কাপড় জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে দেড় কোটি টাকার পর্দা ও সোফার কাপড় জব্দ - নয়া দিগন্ত

রফতানিমুখী শিল্পের সুবিধার অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণায় দুই কন্টেইনার পর্দা ও সোফার কাপড় আমদানি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির একটি প্রচেষ্টা পণ্ড করে দিয়েছে চট্টগ্রামের শুল্ক কর্তৃপক্ষ। বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনার খুলে ব্লিসড ফ্যাব্রিকের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভিন্ন পণ্য আমদানির জালিয়াতির এ প্রমাণ মিলে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার (এআইআর) মো: রেজাউল করিম নয়া দিগন্তকে জানান, ঈশ্বরদী ইপিজেডের রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেডের নামে ব্লিসড ফ্যাব্রিক বলে চীন থেকে দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করা হয়। একটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসার প্রায় দেড় মাস এবং অপর কন্টেইনারের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও পণ্য খালাসের জন্য আমদানিক প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অপর দিকে কন্টেইনারে ঘোষণা বহির্ভূত পর্দা ও সোফার কাপড় আছে মর্মে গোপনে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে কন্টেইনার দুটির বিএল ব্লক করে রাখে। পণ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমদানিকারকের প্রতিনিধিকে মৌখিকভাবে অনুরোধ করে এআইআর টিম।

এর প্রেক্ষিতে তারা জানায়, কন্টেইনার দুটি তাদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত নয় এবং কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে পণ্যচালান দুটি আমদানি করেছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনারের নির্দেশে কন্টেইনার দুটি ফোর্স কিপ ডাউন করে কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়। বুধবার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কন্টেইনার দুটির পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য শিল্পের কাঁচামাল ব্লিসড ফ্যাব্রিকের পরিবর্তে পাওয়া যায় প্রায় ৪০ মেট্রিক টন পর্দা ও সোফার কাপড়। এক্ষেত্রে দেড় কোটি টাকা মূল্যের এই চালানে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

এই শুল্ক কর্মকর্তা জানান, দেশীয় পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি ব্যতিরেকে আইপি’র মাধ্যমে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া, শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে তড়িৎ খালাসের আওতায় পণ্য চালানগুলো ছাড় দেয়া হয়। এই সুযোগের অপব্যবহার করে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে অভিনবপন্থায় শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কাস্টমসের জিরো টলারেন্সনীতির কারণে জালিয়াত চক্র পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয়নি, কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হলো না।

তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।


আরো সংবাদ



premium cement