১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিবিসি নির্বাচিত ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের রিমা

- সৃংগৃহীত

বিবিসি নির্বাচিত ১০০ নারীর তালিকা ২০২০ সালে স্থান পেয়েছেন কক্সবাজারের রামুর মেয়ে রিমা সুলতানা রিমু। কৃষক বাবার ১৮ বছরের মেয়ে রিমা বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে। রামু থেকে পরিচালিত বেসরকারী একটি উন্নয়ন সংস্থার হয়ে কাজ করা রিমা দূর করতে চান সমাজের অজ্ঞতা ও অন্ধকার।

গ্রামের সদামাটা পরিবেশে বড় হওয়া রিমা এখন বিবিসি জরিপে এক শ’ নারীর একজন। পাকিস্তানী অভিনেত্রী মাহিরা খান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দরিদ্র বিমোচন বিষয়ক বিশেষ সহকারী সানিয়া নিশতার, ভারতের নাগরিকত্ব আইনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়া ৮২ বছর বয়সী বিলকিস বানুসহ আরো অনেক সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের সাথে ওই তালিকাতে এ বছর স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই নারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিনি। রিমার গল্পও সহজ ছিল না। সমাজে পদে পদে বাধা বিপত্তি থাকা সত্বেও অনগ্রসর নারীদের শিক্ষার প্রসার ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রমে সচেতনতার কাজে এগিয়ে গেছেন তিনি।

রামুর মেরোংলোয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা। রোহিঙ্গা নারী ও শিশু এবং স্থানীয় পিছিয়ে পড়া নারী শিশুর উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কাজ করছে ৩০ জন নারী। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিমা সুলতানা রিমু।

রিমা সুলতানা রিমু কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকার কৃষক আবদুর রহিম ও গৃহিনী খালেদা বেগমের মেয়ে। রিমু কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে এইচএসসি ফলপ্রার্থী। চার ভাই বোনের মধ্যে রিমা সুলতানা রিমু দ্বিতীয়।

কয়েক বছর ধরে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, রোহিঙ্গা শরণার্থী নারী ও শিশুদের শিক্ষার প্রসার, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, বয়সভিত্তিক স্বাক্ষরতা কার্যক্রম পরিচালনা, রেডিও ব্রডকাস্ট ও থিয়েটার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে শান্তি, নিরাপত্তা ও নারীর অগ্রগতি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন।

তিনি কক্সবাজার ভিত্তিক ইয়াং উইমেন লিডার্স ফর পিস-এর একজন সদস্য। এছাড়াও তিনি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স-এর সক্রিয়কর্মী হিসেবে সঙ্ঘাত পূর্ণ দেশ থেকে আসা কিশোরীদের কল্যাণে কাজ করছেন। এ প্রকল্পের লক্ষ্য নারীদের সার্বিক অগ্রগতি নিশ্চিত করা।

রিমা জানান, তিনি ২ বছর আগে বেসরকারি সংস্থা ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর স্যোশাল এ্যাকশন (ইউসা)-এর শিক্ষাবান্ধব গ্লোবাল ইংলিশ লার্নিং সেন্টারে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে গড়ে ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় দক্ষ করার পাশাপাশি ওই সংগঠনের বিভিন্ন মানবিক সেবা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন।
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সব সময় পরিবারের সহযোগিতা পেয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement