চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাই খেলেন আওয়ামী লীগ নেতা
- জালালউদ্দিন মনির, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
- ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৩২
চাঁদাবাজির করতে গিয়ে গণধোলাই খেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-দফতর সম্পাদক। সোমবার রাত ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বানিয়াচং গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহত অবস্থায় খাজা আলমগীরকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ডাক্তাররা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ওই নেতা বানিয়াচং গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে খাজা আলমগীর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে খাজা আলমগীর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাব খাঁটিয়ে এলাকায় মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। খাজা আলমগীর শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ধনু মেম্বারের চাচাতো ভাই। গত কয়েকদিন আগে বানিয়াচং গ্রামের বাইজিদ মোল্লার কাছে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে আলমগীরের বিরুদ্ধে।
এদিকে টাকা না দেয়ায় সোমবার রাতে বায়েজিদ মোল্লার ভাই কাজী দুলালকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে আলমগীরসহ আরো কয়েকজন। এ সময় বানিয়াচং বাজারে থাকা লোকজন এই ঘটনা দেখতে পেয়ে কাজী দুলালকে উদ্ধার করে খাজা আলমগীরকে আটক করে গণধোলাই দেয়। একপর্যায়ে আলমগীরের সাথে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কাজী দুলাল মিয়া, কাজী আবদুর রহমান, কাজী নাফিছ ও খোকন মিয়াসহ আরো অনেকেই জানান, তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার রাতে এলাকাবাসী তাকে গণধোলাই দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খাজা আলমগীরের ছেলে হাসান জানান, শ্যামগ্রামের (আলগা বাড়ির) এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজন সংঘবদ্ধভাবে আমার বাবা খাজা আলমগীরকে বানিয়াচং মোড়ে একা পেয়ে লোহার রড ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লায় নেয়া হয়েছে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) রহুল আমীন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা