১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরাইলের এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা

উচ্ছেদ অভিযান - ছবি : সংগৃহীত

অবৈধভাবে দখল করা খাল উদ্ধার করতে গিয়ে বৈধভাবে বানানো এক বাড়ি ভেঙে খাল করার অভিযোগে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে। তার নির্দেশে কোনো নোটিশ ছাড়া উক্ত বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে বাড়ি খননসহ শতাধিক ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয় বলে জানা গেছে। এমন অভিযোগে বাড়ির মালিক সরাইলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল উচ্চ আদালতে ক্ষতিপূণ চেয়ে রিট করেন। রিট শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কোনো নোটিশ ছাড়া তার বাড়িঘর উচ্ছেদের নামে ভাংচুর, খনন ও গাছপালা কর্তন করা হয়। এ ঘটনায় আমি গত ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নং-৭১৬৬) করেন। এর আগে ১১ অক্টোবর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, সরাইলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

রিট পিটিশন ও লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কোনো নোটিশ ছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা পুলিশ ফোর্সসহ শ্রমিক নিয়ে ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলালের বাড়িতে এসে বেকু দিয়ে মাটি খনন এবং করাত দিয়ে গাছগাছালি কাটতে শুরু করেন। এর কারণ জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার দুলালকে গ্রেফতার এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার হুমকি দেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযানে ব্যবসায়ীর নিজের জায়গায় লাগানো ৯০ থেকে ১০০টি গাছ কর্তন করা হয়। পরে সেগুলো ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার এবং মানসিক ও আর্থিকভাবে আরো ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয় বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী দুলাল। এছাড়া অভিযানে বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অভিযানে যে জায়গাটি খনন করা হয় সেটি সরাইল-কালিকচ্ছ-নাসিরনগর রাস্তার পূর্ব পাশে অবস্থিত সিএনবি রোড এবং ভূমির রেকর্ডপত্রে সেটি নয়নজুড়ি শ্রেণীর বলে উল্লেখ রয়েছে।

মামলার আবেদনে এমন ঘটনার কারণ বর্ণনায় বলা হয়, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবসায়ী দুলাল ও তার স্ত্রী (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর রোজিনা ভূইয়া একটি বিএস রেকর্ড অনুযায়ী দাগ নাম্বার সংশোধন করার কাজে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সময়ক্ষেপণ করেছিলেন। এর আগে কাজটি করার বিনিময়ে অবৈধভাবে ঘুষের কথা জানান। সেটি পূরণ না করায় সহকারী কমিশনার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং পরে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

তবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা মামলার বিষয়ে কোনো কিছু জানেন না বলে জানান।


আরো সংবাদ



premium cement