নৌধর্মঘট : আশুগঞ্জ বন্দরে ২ দিন ধরে আটকা অর্ধশতাধিক তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা
- ২১ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪৫
সারাদেশে নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি পুলিশি নির্যাতন বন্ধসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌধর্মঘট চলছে। কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে শ্রমিকরা ১৯ তারিখ থেকে ওই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে দুদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়েছে অর্ধশতাধিক তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ।
বুধবার সরেজমিনে আশুগঞ্জ বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, চার শতাধিক নৌযান শ্রমিক অলস সময় পার করছেন। এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘটের কারণে কাজে যোগ দেননি নৌ শ্রমিকরা। ফলে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসও সম্ভব হচ্ছে না। তবে যাত্রীবাহী যান চলাচল ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আশুগঞ্জ নৌবন্দর সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, পুলিশি নির্যাতন, শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ, বকেয়াসহ খাদ্যভাতা প্রদান, নৌ পরিবহন অধিদফতরের অব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক হয়রানী বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন, মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ মোট ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে শ্রমিকরা এই ধর্মঘট শুরু করে। এতে মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে আটকা পড়ে আছে বেশ কয়েকটি তেল ও পণ্যবাহী জাহাজ। শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ার কারণে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আশুগঞ্জের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ১১ দফা দাবিতে আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করেছি। কালক্ষেপণ করলেও নৌযান মালিকরা আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো এখনো মেনে নেননি। যার কারণে আবারো আমরা ধর্মঘট পালন করছি। তবে সাধারণ মানুষের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যাত্রীবাহী যান চলাচল ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা