২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জরিপ : করোনার প্রভাবে কক্সবাজারে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা     

-

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনজীবিকা, আয় রোজগার এবং উপার্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে পর্যটন শহর কক্সবাজার শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় দেখা দিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা। বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির সাম্প্রতিক জরিপে এই তথ্য জানা গেছে।      

বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির কক্সবাজার অফিস থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (ডবিালউএফপি)-এর জরিপের পর তাদের একটি মূল্যায়নে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর ও কক্সবাজার শহরের প্রায় অর্ধেক জনগণ খাদ্য বিষয়ক ঝুঁকির সম্মুখীন এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে জীবিকা ও উপার্জনে ব্যাপক মন্দার কারণে এইসব মানুষকে খাদ্য জোগাড় করতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। দেশের প্রধান পর্যটন স্পট হিসেবে কক্সবাজার শহরে এটার একটি প্রভাব পড়বে বলে এই জরিপে উঠে এসেছে।              

কক্সবাজার আরবান ভালনারেবিলিটি এসেসমেন্টে দেখা গেছে, জরিপকৃত জনগণের ৪০ শতাংশেরই মার্চ মাস থেকে কোনো আয়-উপার্জন নেই এবং ৪৮ শতাংশ মানুষকে পর্যাপ্ত খাবার কিনতে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছে। ফলে, এসব মানুষ সরকার ও দাতা গোষ্ঠীর মতো বাহ্যিক সহায়তার ওপর ব্যাপকমাত্রায় নির্ভর করে আসছে।

ডব্লিউএফপি কক্সবাজারের সিনিয়র ইমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, “কোভিড-১৯ কেবলমাত্র একটি স্বাস্থ্যগত সঙ্কটই নয়, এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাইপ লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য এটি একটি আর্থ-সামাজিক সঙ্কট। বাংলাদেশে শহরে বসবাসকারী জনগণ এবং জীবন-জীবিকার জন্য পর্যটন ও মজুরি খাতের ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজারের জন্য এটি ভাবনার বিষয়।”

জরিপ মুল্যায়নে দেখে গেছে, দিনমজুরীর সাথে সম্পৃক্ত মানুষের আয় কমেছে ৭০ শতাংশেরও বেশি। আর যেসব মানুষ স্বনির্ভর, তাদের আয় কমেছে ৪৪ শতাংশ। লকডাউনের সময় ব্যবসায়ীদের আয় তাদের স্বাভাবিক আয়ের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ কমেছে।

গত এপ্রিল মাসে, কক্সবাজারে ঝুঁকির মুখে থাকা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহায়তার সম্পূরক সহায়তা হিসেবে খাদ্য ও অর্থ-সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ডইব্লউএফপি কক্সবাজারে একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল।

শিলা গ্রুডেম বলেন, “কোভিড-১৯ এর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, ডব্লিউএফপি-এর লাইভলিহুডস্, স্কুল ফিডিং ও দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান করেছি। এখন আমরা কক্সবাজার সদরের ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষসহ কক্সবাজার জেলার ৫ লক্ষ মানুষকে আমাদের এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছি।” জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা যা জরুরি অবস্থায় জীবন বাঁচায়, সমৃদ্ধি তৈরি করে, এবং সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উদ্ধারকৃত জনগণের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তা করে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল