বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাদ থেকে ছিটকে পড়ল শিশু
- জাকির হোসেন, চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ০৯ জুলাই ২০২০, ১১:৩৯
কুমিল্লার চান্দিনায় বিদ্যুতের ২২০ ভোল্টের খোলা তার ছাদে রেখে দোতলা ভবনের কাজ শুরু করেছেন দুবাই প্রবাসী আনোয়ার হোসেন। উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের বড় কলাগাঁও গ্রামের ওই ভবনটি নির্মাণ করছেন তিনি। একতলা ছাদের উপরে ওই তারটি দোতলা ভবন নির্মাণ কাজ চালানোর কারণে দোতলা ভবনের বারান্দার ভিতরেই রয়ে যায়। বিদ্যুৎ অফিসের কোনো ছাড়পত্র ছাড়া মনগড়াভাবে ঘরের বারান্দায় খোলা তার রেখে ভবন কাজ চালানোর কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক আহত হয় মনি আক্তার নামে সাত বছরের এক শিশু। বিদ্যুতায়িত হয়ে একতলা ছাদের উপর থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে ওই শিশুটি। মারাত্মক আহতাবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে।
বুধবার বিকেলে উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের বড়কলাগাঁও দোতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিশু মনি আক্তার মাধাইয়া ইউনিয়নের দোতলা গ্রামের মিনহাজুর রহমান ড্রাইভারের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়কলাগাও গ্রামের হাজী সহিদের ছেলে আনোয়ার হোসেন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দোতালা ভবনের ভিতরে বিদ্যুতের মেইন লাইনের খোলা তার রেখে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই তারে স্কচটেপ প্যাঁচিয়ে রাখলেও কিছু অংশে উঠে যায়। বুধবার বিকেলে নির্মাণাধীন ভবনের দোতলার বারান্দার ভিতরে থাকায় খোলা তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে শিশুটি। তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।
ভবনের মালিক আনোয়ার হোসেনের বাবা হাজী সহিদ বলেন, আমরা চান্দিনা পল্লী বিদ্যুতের লিখিত অনুমতি নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে এই তারে স্কচটেপ প্যাঁচিয়ে দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এমন পরিস্থিতিতে ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। অনুমতি ছাড়া আমাদের বিদ্যুতের তার বারান্দার ভিতরে রেখে ভবন নির্মাণ করে একটি মৃত্যু ফাঁদ তৈরি করেছে ওই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা