মিরসরাইয়ে গলিত সীসায় দগ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৪ জন
- এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ০৬ জুন ২০২০, ২১:৩২, আপডেট: ০৬ জুন ২০২০, ২০:৩৭
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত বিএসআরএম ফ্যাক্টরিতে কাজ করার সময় লোহার গলিত সীসায় দগ্ধ হয়ে মো. আবুল কাশেম (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় দগ্ধ আরো চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
কাশেমের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
নিহত এই শ্রমিকের আত্মীয় আবদুর রহিম বলেন, কারখানায় বিস্ফোরণ হয়ে কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা আমাদের জানাতে পারিনি বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হওয়া বাকি চারজন হলেন গিয়াস উদ্দিন (২৪), নুর হোসেন (৩০), মহিউদ্দিন (২৮) এবং নজরুল ইসলাম (২৪)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মিথুন পালিত বলেন, তাদের অনেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি বলেন, "গিয়াস উদ্দিনের ৯৮ শতাংশ শ্বাসনালী পুড়ে গেছে, নজরুল ইসলাম ১০০ শতাংশ, মহিউদ্দিন ৮০ শতাংশ এবং নুর হোসেনের ৬০ শতাংশ ইনহলেশন ইনজুরিতে জ্বলছে।"
দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন দাশ গুপ্তা বলেন, কারখানায় দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে তা বিস্তারিত জানি না। খবর নেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, ফ্যাক্টরিতে লোহা গলানোর সময় তরল সীসায় দগ্ধ অবস্থায় ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে কাশেম নামের একজন শ্রমিক মারাও যায়। তাছাড়া বাকী চার জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে সে বিষয়ে জানার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা