২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনার উপসর্গে নারীর মৃত্যু, এলাকায় আতঙ্ক

-

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের এক নারী (৫০) মারা গেছেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ওই নারী বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে শশুর বাড়িতে মারা যান। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগলেও গোপন রেখেছিলেন।

ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো: ফারুক মিয়া জানান, ওই নারী ১০-১২ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে রাণীখার আসেন। তার স্বামী নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি চাকুরি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।

পরিবারের লোকজন দাবি করছে, তিনি স্ট্রোক (উচ্চ রক্তচাপ) করে মারা গেছেন। তবে গ্রামের অনেকেই জানিয়েছেন গত কয়েকদিন ধরেই তিনি জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছিলেন। বিষয়টি পরিবারের লোকজন গোপন রাখেন। ওই নারীর মৃত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা জানান, ওই নারী নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার বিষয় কিংবা অসুস্থ হওয়ার বিষয় কেউ আগে থেকে জানায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।

এ নিয়ে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ এ জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাৎ করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় গত দুই দিনে পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাঞ্ছারামপুরে মারা যাওয়া কৃষক করোনা আক্রান্ত নন বলে আইইডিসিআরের ল্যাবটেরির পরীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে জেলার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ বছর বয়সী মুরাদনগরের এক যুবক এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের রূপসদী গ্রামের মধ্যপাড়ায় নিজ বাড়িতে ৫৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে জেলার নাসিরনগরে প্রবাসফেরত এক ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গত ২০ মার্চ তিনি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে থাকা রোগীরাও সরে গেছেন। হাসপাতালের সামনের সড়কেই ওই ব্যক্তির জানাজা শেষে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লাশ দাফন করা হয়।

অপরদিকে করোনার উপসর্গ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চরছাউনী গ্রামের সেই কৃষক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকা ৪৫ বছর বয়সী ওই কৃষককে সোমবার বিকেলে ঢাকায় পাঠানো হয়। তবে ওই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টিই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিরা কীভাবে মারা গেছেন সেটা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement