২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অযথা ঘুরাঘুরি করায় অর্থদণ্ড

-

চাঁদপুরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা না মানায় অযথা ঘুরাঘুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে ২১ হাজার এক শ’ টাকা জরিমানা এবং সাতজনকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়। যার পরিমান দুই হাজার সাত শ’ টাকা। এছাড়াও ৩০টি গণপরিবহন জব্দ করা হয়।

শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ছামিউল ইসলাম, আবিদা সিফাত ও নুশরাত শারমীন। এদেরকে সহযোগিতা করেন পুলিশ প্রশাসন।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ৩৭টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ব্যবসায়ীদেরকে আট হাজার ছয় শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিনে শহরে ছয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার দুই শ’ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

অন্যদিকে বে-আইনীভাবে বেকারি, চায়ের দোকান,ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান চালু রাখার অপরাধে মতলব দক্ষিণ পৌর এলাকা ও উপাদী উত্তর ইউনিয়নের স্থানীয় বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ীকে মোট ১২ হাজার পাঁচ শ’ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

সরকারি নির্দেশনা না মানায় অযথা ঘুরাঘুরি করার অপরাধে সিরাজুল ইসলামকে (৩৫) কে ৫ পাঁচ শ’ টাকা, রিয়াদকে (২১) দুই শ’ টাকা, স্বপনকে (২৯) চার শ’ টাকা, বিল্লাল হোসেনকে (৫০) পাঁচ শ’, সোহেলকে (২৭) দুই ’ টাকা, নাছিরকে (৫৫) চার শ’ টাকা ও মামুন খানকে (৩০) পাঁচ শ’ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো: নাসিম উদ্দিন জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মডেল থানার পুলিশের সহযোগিতায় আশিকাটি শাহমাহমুদপুর রামপুর এলাকায় ১৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিন হাজার এক শ’ টাকা, ওয়ারলেস মোড় ও বাগাদী চৌরাস্তা এলাকায় ১৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিন হাজার নয় শ’ টাকা এবং তরপুরচন্ডী ও মৈশাদী এলাকায় ১১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক হাজার
ছয় শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া চাঁদপুর সদর থানার চেকপোস্টে সিএনজি অটো বাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ ৩০টি গণপরিবহন আটক করা হয়।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেটগণ জানান, আইন অমান্যকারীদেরকে সতর্কতা মূকলভাবে এ অর্থদণ্ড প্রদান করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে যাতে না ছড়িয়ে পড়তে পারে সেজন্য এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় লোকজন যাতে জটলা পাকিয়ে কোথাও দাঁড়িয়ে না থাকে, নিজের প্রয়োজন শেষে বাসায় চলে যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement