২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনবাগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ ২৯ ক্লিনিকে নেই পিপিই, ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা

সেনবাগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ ২৯ ক্লিনিকে নেই পিপিই, ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা - সংগৃহীত

নোয়াখালীর সেনবাগে ৫০ শয্যার হাসপাতালসহ ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নেই। ফলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসকসহ জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মাঝেই রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা।

এতে যে কোনো সময় করোনা আক্রা রোগীর সংস্পর্শে ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আক্রান্ত হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে যেতে পারে।

এ হাসপাতালে মাত্র ৫ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লু কর্ণার, দুটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সরকার বরাদ্দ না দেয়ায় পিপিই দেয়া যাচ্ছে না। অথচ এই উপজেলায় ৬৯ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সচেতন করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদিকে এ উপজেলায় ইউরোপ মধ্যপাচ্যের সৌদি, আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৯৬৯ জন প্রবাসীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পিপিই নেই স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই সরবরাহ না দেয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রোগীদের সেবা প্রদান করতে হচ্ছে। পিপিই ও মাস্ক পাওয়ার জন্য সংশি¬ষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো মতিউর রহমান জানান, আমরা এই পর্যন্ত যে পিপিই পেয়েছি তা দিয়ে কোন রকমে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement