২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

মোয়াজ্জেম হোসেনে - ছবি : সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার প্রাক্তন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। যৌন হয়রানির শিকার তরুণীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়অর মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস এ পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে গতকাল তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার তদন্ত শেষে এই প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন পিবিআই সদর দপ্তরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের করা আবেদনের শুনানি করে পরোয়ানা জারি করে আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ন করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এমন অভিযোগ উঠলে নুসরাত জাহান রাফিসহ দুইজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। ওসি নিয়ম ভেঙে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওসি মোয়াজ্জেম অনুমতি ছাড়া নিয়মবহির্ভূতভাবে নুসরাতকে জেরা এবং তা ভিডিও করেন। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় ওসি মোয়াজ্জেম অত্যন্ত অপমানজনক ও আপত্তিকর ভাষায় একের পর প্রশ্ন করে যাচ্ছেন নুসরাতকে।

পরে এ অভিযোগ তুলে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।

গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় যান। এ সময় একটি ভবনের চার তলায় ডেকে নিয়ে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেন। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement