২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অগ্নিঝুঁকিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

অগ্নিঝুঁকিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প
অগ্নিঝুঁকিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলো আগুন লাগার ঝুঁকিতে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, অতিঝুঁকিপূর্ণ এসব ক্যাম্পে পানির প্রাকৃতিক উৎস একেবারেই কম।

এগারো লক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্যে আগুন নেভানোর আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজনও নগন্য। ক্যম্পগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই। এ কারণে যেকোনো সময় আগুনে ধরে হতে পারে ব্যাপক প্রাণহানি।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথিবীর দীর্ঘতম রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আল্লাহ না করুক যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া সেখানে কোনো প্রকার জলাশয় বা পানির ব্যবস্থা নেই। আমাদের একটি মাত্র গাড়ি আছে ঐ গাড়ির পানি দিয়ে কিছুই হবে না। আমরা বলে আসছি মানুষের মূল্যবান জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকা উচিত।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার থুই সাখুই মারমা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর রাস্তা অনেক সরু। কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, ময়নাঘোনা, হাকিমপাড়া, থাইংখালী, তাজিনারমারখোলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ প্রতিটি ক্যাম্পই অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।

সেখানে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দূরে থাক, নেভানোর জন্য মানুষ চলাচল করাও দুষ্কর। আর্মি রোড ছাড়া রোহিঙ্গাদের আবাস স্থলে পর্যাপ্ত রাস্তা নেই গাড়ি ঢোকার জন্যে। ক্যাম্পে একটি গ্রুপে ৫০ জন করে রোহিঙ্গা নিয়ে ৬০ টি গ্রুপকে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যেখানে আগুন লাগবে তার পাশের ঘর ভেঙ্গে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি বাহিনী প্রতিদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টহলরত থাকেন।

বালুখালী টু ময়নাঘোনা ১১ নং ক্যাম্পের জিয়াবুর রহমান বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানদের জানমাল একমাত্র আল্লাহর হাতে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে মরব তা নয়, যে আল্লাহ আগুনে মারতে পারেন সে আল্লাহ আগুন থেকে রক্ষাও করতে পারেন। তবে আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement