ডা: জাফরুল্লাহর কারণেই গণমুখী ওষুধনীতি সম্ভব হয়েছিল
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
জাতীয় ওষুধনীতির কারণেই বর্তমানে মোট ওষুধের ৯৮ ভাগ দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের ব্যাপক বিকাশ, ওষুধের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মানোন্নয়ন এবং ওষুধের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়নে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সম্পৃক্ততার কারণে গণমুখী নীতি প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। গত শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক সাভারের পিএইচএ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘জাতীয় ওষুধনীতি ১৯৮২ প্রণয়নের ৪২ বছর : অর্জন ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা: মো: সায়েদুর রহমান বলেন, ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন কমিটিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পুরো পক্রিয়ায় গন্তব্য বদলে দেয়। জাতীয় অধ্যাপক ডা: নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণমুখী নীতি, নিরপে মানসিকতা, দৃঢতা, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি এই বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল।
সেমিনারের অন্য বক্তা বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। কাঁচামাল এ দেশে তৈরি করবে বলে বিদেশী কোম্পানিগুলো সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিলেও এ দেশে কোনো কাঁচামাল তৈরি হতো না। ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। জাতীয় ওষুধনীতির ফলে এ শিল্পে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিআইডিএস এর গবেষণা পরিচালক ড. কাজী ইকবাল বলেন, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবসময় দেশের, দেশের মানুষের স্বার্থকে চিন্তা করতেন বিধায় এই নীতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয় ওষুধ নীতির কারণে স্থানীয় উৎপাদন কোম্পানির বিকাশ ঘটেছিল। সেমিনারটি সঞ্চালন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার। সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিণী নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ শিরীন পারভীন হক। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন ও রেজিস্ট্রারসহ ফার্মাসিট, চিকিৎসক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা