বাজেটে মূসক সুবিধা বহাল রাখার দাবি টোয়াবের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:০৫
প্রস্তাবিত বাজেটে পর্যটন খাতে ভ্যাট-সুবিধা প্রত্যাহার করে নতুন যে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে পর্যটন খাতের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
গতকাল রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট ও এফবিবিসিআই ট্রাভেল, ট্যুর অ্যান্ড হসপিটালিটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মো: রাফেউজ্জামান বলেন, ট্যুর অপারেটররা বিভিন্ন খাত থেকে পর্যটন উপাদান সংগ্রহ করে পর্যটকদের সুবিধা ও আরামদায়ক ভ্রমণের যে প্যাকেজ তৈরি করে তার মধ্যেই মূসক অন্তর্ভুক্ত থাকে।
উদাহরণ তুলে ধরে তারা বলেন, হোটেলের রুম ভাড়া করার সময়, ট্রান্সপোর্টের টিকিট কেনার করার সময়, রেস্টুরেন্টে খাবারের বিল দেয়ার সময়, বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণীয় স্থাপনা ও অ্যামিউজমেন্ট পার্কের টিকিট কেনার সময় মূসক দিয়ে থাকে। এমনকি অন্যান্য পর্যটন সেবার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
রাফেউজ্জামান বলেন, সব পর্যটন উপাদান একত্র করে ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকে। এখন যদি পর্যটন উপাদান সম্মিলিত প্যাকেজে আবার নতুন করে মূসক দাবি করা হয়, তাহলে প্যাকেজ মূল্য তথা ট্রাভেল কস্ট বহুলাংশে বেড়ে যাবে। এতে গোটা পর্যটন শিল্প বিশেষ করে অন্তর্গামী ও অভ্যন্তরীণ পর্যটন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
টোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, যেহেতু পর্যটন শিল্প একটি ব্যাপক ও অনেক সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত, বিদ্যমান মূসক সুবিধা প্রত্যাহার হলে অগ্রসরমাণ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্বারা সৃষ্ট। ওনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় পর্যটনের যে দ্বার উন্মোচিত হয়েছে তা দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু তা-ই নয় পর্যটন শিল্পের দ্বারা কষ্টার্জিত বৈদেশিক মদ্রা অর্জন ও রক্ষা দুটোই করা সম্ভব, যা ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাজেট ঘোষণার পরপরই এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সাথে টোয়াবের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে মূসক প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে টোয়াবের দাবির সাথে একমত পোষণ করা হয়।