ইতিবাচক পথে পুঁজিবাজার শেয়ারের খোঁজে ক্রেতারা
প্রগতি লাইফ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বড় ধরনের বেচাকেনা হয়েছে ব্লক মার্কেটে।- বিশেষ সংবাদদাতা
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:০৫
দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল দশা দেশের পুঁজিবাজারে। মাঝে কিছুদিন ঘুরে দাঁড়ায়। এরপর টানা দু’দিন পতন হলেও ফের পুঁজিবাজার ইতিবাচক পথে ফেরায় বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতাদের সংখ্যা দ্বিগুণ ছিল। দুই বাজারে গতকাল সূচকের চিত্র ছিল ভিন্ন।
ডিএসইতে সবগুলো সূচকে পয়েন্ট ফিরেছে। চট্টগ্রাম স্টকে দুটি সূচকে পয়েন্ট ফিরলেও দুটি আবার পয়েন্ট হারিয়েছে। সিমেন্ট, সিরামিক্স, খাদ্য, পেপার ও ভ্রমণ খাতের কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। প্রগতি লাইফ ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বড় ধরনের বেচাকেনা হয়েছে ব্লক মার্কেটে। বেচাকেনা কিছুটা বেড়েছে।
দুই বাজারের লেনদেনের তথ্য থেকে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৩.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৫১.৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৩.৬৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৯০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭৪.৮৪ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া ৩৮৯ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩ টির, দর কমেছে ১২৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির। ১২ কোটি ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬১৪টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড ডিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৩৭৪ কোটি ৪৮ লাখ ২৪ হাজাার টাকায়। গত বুধবার থেকে ৬৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা বেশি। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩০৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার ।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৬৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড মোট ৪২ কোটি ৮০ লাখ ২৪ হাজার টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে দুটি বীমা কোম্পানির। রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্সের ৯ লাখ ১৪ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকায় এবং প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ লাখ ১০ হাজার ৫৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বাজারমূল্যে। এ ছাড়া ওই দুটিসহ মোট ৮ কোম্পানির মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকারও বেশি। কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, ফাইন ফুডস, স্কয়ার ফার্মা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বিএসআরএম লিমিটেডের ১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ফাইন ফুডসের ১ কোটি ৭৪ লাখ ৯ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৫৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার এবং বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২.৩৬ পয়েন্ট কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২.২০ পয়েন্টে। সিএসইতে ২০১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৪টির এবং ২৭ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড সিএসইতে ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে।
এদিকে বাজার বিশ্লেষক রয়েল ক্যাপিটালের মতে, ডিএসইতে ৩১ শতাংশ বিক্রেতার বিপরীতে ক্রেতা ছিল ৭১ শতাংশ। তবে এ বি এন ও জেড শ্রেণীর কোম্পানির শেয়ার বাই প্রেসারে ছিল।