১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাত পোহাতেই পুরনো চেহারায় পুঁজিবাজার

-

- আবার পতন শুরু, অনিশ্চয়তার দোলাচলে বিনিয়োগকারীরা
- বাজারে বিক্রির চাপ ছিল ৬৯ শতাংশ-রয়েল ক্যাপিটাল

দীর্ঘ ৯ দিন পর ইতিবাচক পথে ফিরে দেশের পুঁজিবাজার। কিছুটাও আশ^স্ত হয়েছিল কোটি বিনিয়োগকারী। বাজার হয়তো এখন ইতিবাচক পথেই থাকবে। কিন্তু বিধিবাম। রাত পোহাতেই পতনের পথ ধরে আবার পুরো চোহারায় পুঁজিবাজার। বাজারের এই চিত্রে চরমভাবে হতাশ বিনিয়োগকারীরা। আবার পতন শুরু, ফলে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রয়েল ক্যাপিটাল বলছে, বাজেটকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে বাজারে সাইড লাইনে থাকছেন। বিক্রেতা ৫৪ শতাংশ থাকলেও বাজারে বিক্রির চাপ ছিল ৬৯ শতাংশ। যেখানে ক্রয় চাপ ছিল ৩১ শতাংশ। লেনদেনে ভলিউম ৯ শতাংশ বাড়লেও টার্নওভার ১৩ শতাংশ কমেছে।
দিনের লেনদেনে তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাজারের লেনদেন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মোটামুটি ভালোই ছিল। কিন্তু তার পরই পতনের পথ অনুসরণ করে। বাড়তে থাকে সূচক থেকে পয়েন্ট খোয়া যাওয়া। লম্বা হতে থাকে দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা। শেষমেশ পুরনো চেহারায় বাজারের লেনদেন সমাপ্ত ঘটে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১.৬৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ২৭৮.৮৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৭.৬৩ পয়েন্ট হারিয়ে এক হাজার ১৫২.৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৯২ পয়েন্ট হারিয়ে এক হাজার ৮৮৬.৭২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইতে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫১টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড মোট ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ চার হাজার ৯২২ টাকায় হাতবদল হয়েছে, যা সোমবারের তুলনায় ৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা কম লেনদেন। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ১১ লাখ টাকার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ২৬৫টির বা ৬৭.২৫ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
ব্লক মার্কেটে ২ কোটির বেশি শেয়ার ট্রেড : এ দিকে, ডিএসইর ব্লক মার্কেটে গতকাল ৩৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির দুই কোটি ৯ লাখ ৪২ হাজার চারটি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৪১ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকায়। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইএফআইসি ব্যাংকে। ব্যাংকটির এক কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকায়। তবে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে সাত কোম্পানির শেয়ার।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবগুলো সূচকই উল্লেখযোগ্য পতনে ছিল। সিএসই-৫০ সূচক ২.৩৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪১.০২ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৪৩.২২ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই ৭২.৩৬ পয়েন্ট কমেছে। এক কোটি ৩৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৪০ টাকা বাজারমূল্যে। সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার। প্রায় দ্বিগুণ লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে ২৪৩টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১৩৩টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিশ্লেষক রয়েল ক্যাপিটালের পর্যবেক্ষণ হলো, আবার পতনে অনিশ্চয়তার দোলাচলে বিনিয়োগকারীরা। প্রধান সূচক (ডিএসইএক্স), একদিন ইতিবাচক থাকার পর গতকাল দিনশেষে নিম্নমুখী ছিল। প্রধান সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ৫৩০০ পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। অর্থনৈতিক নানান দিকগুলোর পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট এবং সুদ হারের বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বিষয়াদি সামনে রেখে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে বাজারে সাইড লাইনে থাকছেন, যা দৈনিক লেনদেনেও প্রভাব ফেলছে। লেনদেনের পরিমাণ গত কার্যদিবসের তুলনায় ১৩ শতাংশ বা ৬৬ কোটি টাকা কমে ৪৪১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষণে সংস্থাটি বলছে, ঢাকার শেয়ারবাজারে সূচক নিম্নমুখী ছিল। মূলধন গতদিনের তুলনায় ০.০০৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ১৯টি সেক্টরের মধ্যে মাত্র ২টি সেক্টরের বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১৭টি সেক্টরের বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে। এসএমই বাজার সূচক (ডিএসএমইএক্স) ৫৩.০২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে এক হাজার ৪৯৬.৮০ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮.৭ কোটি টাকা, যা গতদিনের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। বিক্রির প্রবণতায় নেতিবাচক অবস্থায় শেষ হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘আপত্তিকর ভাষা’ ব্যবহারে শাস্তি পেলেন জোসেফ শ্রীমঙ্গলে হত্যা মামলায় প্রেমিক গ্রেফতার জামায়াত নেতা কাজী ফজলুল করিমের মৃত্যুতে ড. রেজাউল করিমের শোক প্রকাশ বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকব : মুন্না আমতলীতে ব্যবসায়ীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় জড়িতদের বিচার দাবি সিরিয়া নিয়ে আশা ও শঙ্কা ইসরাইলের সিরিয়ায় বাশারের পতনে ইসরাইল কতটুকু লাভবান অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ৫৭৯ কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত ৫ এ দেশে রাজনীতি করতে হলে জনগণের সেবক হয়েই রাজনীতি করতে হবে : সেলিম উদ্দিন এখন সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতার : অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

সকল