১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিভিন্ন দাবিতে রংপুর বিড়ি মালিক সমিতির অর্থমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ

-

রংপুর বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি আসন্ন বাজেটে প্রাক্কালে বিড়ি শিল্প রক্ষা এবং জাল ব্যান্ডরোল রোধ, নকল বিড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন দাবিতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছে।
মালিক সমিতি স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, প্রকৃত পক্ষে বিড়ি প্রতিষ্ঠান দেশব্যাপী প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার। এদের মধ্যে মাত্র ২০ থেকে ২৫টি বিড়ি ফ্যাক্টরি সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ২৫ শলাকা বিড়ির প্যাকেট মূল্য ১৮ টাকা বিক্রি করে। বৃহত্তর রংপুর বিভাগে ৭০০-৮০০ বিড়ি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এদের মধ্যে হাতেগোনা চার থেকে পাঁচটি ফ্যাক্টরি ১৮ টাকা মূল্যে বিক্রি করে।
তাদের দাবি দেশব্যাপী বেশির ভাগ জেলায় হাটে বাজারে ৫ টাকা, ৭ টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যে প্রতি প্যাকেট বিড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠিত বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে বছরে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে প্রতিটি জেলায় কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের লোকবল স্বল্পতা। যার কারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অবাধে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতি জেলায় বিভিন্ন হাটবাজারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মনিটরিং সেল গঠন করে অভিযান পরিচালনা করলে এই ধরনের অনিয়ম, অনেকটা দূর করা সম্ভব।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, ১ পিস ব্যান্ড রোলের মূল্য অগ্রীম আয়কর ও স্বাস্থ্য খাতসহ মোট মূল্য ৯ টাকা ৯ পয়সা। কিন্তু ২৫ সলাকা ১ প্যাকেট বিড়ির মূল্য ৫ টাকা,৭ টাকা বা ১০ টাকায় বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, দেশে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার বিড়ি ফ্যাক্টরির মধ্যে ২৫টি বিড়ি ফ্যাক্টরি গত ২০২১- ২০২২ অর্থবছরে ১০৪৬.৯৮ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় সরকার হারাচ্ছে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব। তারা বলেন, বিড়ি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিড়ি পেপারের দুইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দেশে। এর একটি আফিল পেপার মিলস, অপরটি বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেড। ব্যান্ডরোলের পরিবর্তে বিড়ি ট্যারিফ মূল্যের সম্পূরক ও মূষক কর বিবিধ পেপারের ওপর ধার্য করলে ৫ টাকা, ৭ টাকা এবং ১০ টাকা মূল্যের বিড়ি ফ্যাক্টরিগুলো সরকারের নির্ধারিত মূল্যের ১৮ টাকার নিচে প্রতি প্যাকেট বিড়ি বিক্রয় করতে পারবে না।
স্মারকলিপিতে মালিক সমিতি আগামী বাজেটে বিড়ির মূল্য ১৮ টাকার পরিবর্তে ১৬ টাকা করা এবং ব্যান্ড রোলের পরিবর্তে বিড়ি তৈরির কাগজের ওপর সরকারের নির্ধারিত সম্পূরক ও মূশক কর ধার্য করা, পাশাপাশি বিড়ি সিগারেটের অগ্রীম আয়কর বৈষম্য দূর করার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
বাকৃবিতে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় ভাষা উৎসব শুরু টঙ্গীতে শূরায়ে নেজামপন্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রামে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সীমান্তে নিজের বন্দুকের গুলিতে আহত বিএসএফ সদস্য ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি বোয়ালখালীতে ডোবায় পড়ে শিশুর মৃত্যু আল্লাহর নীতির বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : মজিবুর রহমান চাটমোহরে কৃষকলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৭ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন বৈধ অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের

সকল