নাজিরপুরে বেড়িবাঁধ ভেঙে স্বপ্ন ভেসে গেল কৃষকদের
- আল-আমিন হোসাইন, নাজিরপুর (পিরোজপুর)
- ০৭ জুন ২০২৪, ১৯:২০
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বেড়িবাঁধ ভেঙে স্বপ্ন ভেসে গেল কৃষকদের। ওই বেড়িবাঁধটি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের দেউলবাড়ী গ্রামে।
সেখানের অধিকাংশ জনসাধারণের চলাচলের মাধ্যম নৌকা। গ্রামটির চারপাশে নদী-খালবেষ্টিত হওয়ায় এখানকার বেশিরভাগ কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা লেগে থাকত।
তবে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গ্রামের ১০০ জন কৃষক গঠন করেন গ্রাম সমিতি। নিজেদের অর্থায়নে প্রায় ৫০০ বিঘা অনাবাদি জমির চারপাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে ধান চাষের আওতায় আনেন। মাত্র দুই বছর হলো সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছিল তারা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল সব ওলটপালট করে দিয়ে গেল। এখন দিশেহারা অবস্থায় আছেন ওই বেড়িবাঁধের আওতায় থাকা কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমরা এ জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে একসময় ফসল উৎপাদন করতে পারতাম না, সকলে মিলে একতাবদ্ধভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় বছরের ধান ঘরে তুলতে পারি এবং মাছ চাষ করে প্রতি বছর প্রচুর আয় করি। বন্যার কারণে আমাদের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বাঁধ সংস্কার করতে না পারলে আমরা আগামীতে ফসল উৎপাদন করতে পারব না। সরকারি সহায়তা না পেলে আমাদের পক্ষে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা এবং কৃষিতে হওয়া ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা একদমই অসম্ভব।
ওই বেড়িবাঁধের সভাপতি ইব্রাহিম গাজী বলেন, আমাদের প্রায় কোটি টাকার মাছ নদীতে ভেসে গেল এবং কৃষিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এখন কি করবো বুঝতে পারছি না, সরকারি সহায়তা না পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারব না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসরাতুন্নেছা এশা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাথে কথা বলা হয়েছে। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাঠানো হয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্য পৌঁছাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোনো প্রকার সহায়তা প্রদান করলে তাদের কাছে পৌঁছানো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা