১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইন্দুরকানীতে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী, অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দিন

ইন্দুরকানীতে ২ হাজার পরিবার পানিবন্ধী, অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে দিন - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দুই হাজার পরিবার পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দী হয়ে আছে। পানিবন্দী এসব পরিবার অনাহারে অর্ধাহারে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

ঘরে পানি। চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নষ্ট হয়ে ও পানিতে পাতা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব পরিবারের সাহায্যে তেমন কোনো কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভে ফুসছে সাধারণ মানুষ।

রোববার ও সোমবারের টানা ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জলোচ্ছাসে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ২৫-৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ গ্রামগুলোর মধ্যে চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর, উত্তর চন্ডিপুর ও উত্তর কলারণ গ্রামের খালগুলোতে স্লুইস গেইট থাকায় এবং নদীতে পানির চাপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ জলাবদ্ধতার কারণে দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের ঘরবাড়ি এবং চুলা পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে তারা রান্না করতে পারছে না। ফলে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের।

চণ্ডিপুর গ্রামে বাসিন্দা শিউলি বেগম জানান, পাঁচ দিন ধরে তারা পানিবন্দী আছেন। রান্না করতে পারছেন না। পানি পচে খুব দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তার ভগ্নিপতির বাড়ি থেকে রান্না করে তাদের খাবার পাঠানো হয়।

চরবলেশ্বর গ্রামের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, তার গ্রামের প্রায় চার শতাধিক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে। উত্তর চণ্ডিপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য জানান, তার গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার পানিবন্ধী হয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

কলারণ গ্রামের ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, তার গ্রামে শতাধিক পরিবার এখনো পানিবন্ধী অবস্থায় আছে। অনেকের ঘরের মেঝতে এখনো পানি আছে। তিনি আরো জানান, তার গ্রামে সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্য আসেনি।

নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজী জানান, তিনি পারিনবন্ধী এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছেন এবং পানি নামানোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি আরো জানান, এলাকার দুর্গত মানুষদের সাহায়্যে তিনি সাধ্যমত সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement