১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মির্জাগঞ্জের ঘূর্ণিঝড়ে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত

মির্জাগঞ্জের ঘূর্ণিঝড়ে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ১০-১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসাসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিন দিন উপজেলা পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে যোগাযোগ না করতে পারায় সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২৮) বিকেলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হলে সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হবে। ঘূর্ণিঝড় রোমালে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল-সুবিদখালী খাতুনে জান্নাত বালিকা দাখিল মাদরাসা, কিসমতপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাকড়াবুনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চরখালি সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কাকড়াবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মধ্য মির্জাগঞ্জ গোলাপ গোলাদার স্বতন্ত্র ইবতেদাবি মাদরাসা, ভাজনা কদমতলা নুরিয়া আলিম মাদরাসা, আমড়াগাছিয়া দাখিল মাদরাসা ও কপালভেড়া বালিকা আলিম মাদরাসা।

সুবিদখালী খাতুনে জান্নাত বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো: আবদুল হাকিম বলেন, ১৯৮৩ সালে স্থাপিত এই মাদরাসাটিতে ১৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আছে।

কিন্তু, ঘূর্ণিঝড়ে মাদরাসার টিনশেড ভবননের দুই পাশেই দুটি বড় রেন্ট্রি গাছ পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ দুটি সরিয়ে নেয়ার পরে মাদরাসায় যথা নিয়মে ক্লাস চালু হবে।

সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মালেক জানান, আমাদের বিদ্যালয় টিনের চালা উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শহীদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি কাজ চলমান। বিদ্যুৎ না থাকায় তালিকা তৈরিতে বিলম্ব হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement