১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পানিতে তলিয়ে রয়েছে বেতাগীর নিম্নাঞ্চল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব এখনো পুরোপুরি কমেনি। বাতাসের শো শো শব্দ। ভারি বৃষ্টি কখনো মাঝারি বৃষ্টি কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। উপজেলা প্রশাসন ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করছে।

সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে কৃষি ফসল। ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বেতাগী পৌর শহরের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক পানিবন্দী অনেক পরিবার রান্না করতে হবে অন্যের ঘরে। পানিবন্দী পরিবারগুলোকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের লোকজন শুকনো খাবার দিচ্ছেন। উপজেলার ৫০০০ পরিবার পানিবন্দী। ঘরের ভেতরে ঢুকছে পানি। পানিবন্দী পরিবারগুলো বিপাকে রয়েছে।

এ দিকে, বাতাসের তীব্র শো শো শব্দে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের নিয়ে এ সময় শুকনো খাবার বিতরণ করছেন।

এছাড়াও আরো কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা গেছে, লোকজনের উপস্থিতি কম। স্বেচ্ছাসেবক দল তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এসব ঘটনা ছিল রাতের। সকালে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব না কমলেও বেশ কয়েবটি আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে যুব রেড ক্রিসেন্টের উপজেলা গণসংযোগ কর্মকর্তা হৃদয় হোসেন মুন্না বলেন, ‘যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্র খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ সরবরাহ করছেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল সিকদার বলেন, ‘সকল আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি দেয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে খোঁজ খবর নিতে দেখা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement