১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ছুটছে কাউখালীর উপকূলবাসী

আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ছুটছে কাউখালীর উপকূলবাসী - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস বয়ে যাচ্ছে ও নদ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুপুর থেকে উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে ধেয়ে আসায় বিকেল থেকে কাউখালী উপজেলার পাঁচটি নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে।

আবহাওয়া বিভাগ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেয়ার পর থেকে কাউখালী নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সকাল থেকেই এলাকায় লোকজন ছিল জনশূন্য। উপকূলের দুর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে।

ইতোমধ্যে উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে তার তত্ত্বাবধায়ন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু মিয়া, কখনো উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল মোল্লা, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা জানিয়েছেন, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্যোগকালিন কয়েক হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। একইসাথে গবাদিপশু ও আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে আসা যাবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাতের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে ও নদ নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় পিরোজপুর-স্বরূপকাঠির সড়কের কাউখালীর আমরাজুড়ী ফেরির গ্যাংওয়ে ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এছাড়া পানি উঠে কাউখালীর সোনাকুর ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটের আশপাশে সড়কে হাঁটু পানি উঠে গেছে। ইতোমধ্যে কাউখালী নৌ বন্দরে বহুজাহাজ এসে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নোঙ্গর করেছে।

কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মানুষের ভেতর একটি আতঙ্ক কাজ করছে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খাবারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উপজেলার সুবিদপুর, বেকুটিয়া, চর বাঁশরী, কাঠালিয়া, বিরালজুরি, সয়না, আশুয়া, জোলাগাতি, আমরাজুড়ী নদীপাড়ের বেশকয়েকজনের কথা হলে তারা জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে ধেয়ে আসায় তাদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ের মধ্যে সময় পার করছেন। সকালে থেকে ঝড় বাতাস ও মাঝে মধ্যে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement