দশমিনায় ঝড়োহাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি
- দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ২৬ মে ২০২৪, ১৬:২০
শনিবার শেষ বিকেল থেকে পটুয়াখালীর দশমিনা তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়োহাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এ মুহূর্তে নদী বেশ উওাল রয়েছে। ধমকা হাওয়ায় টিকতে না পেরে নদীর আশপাশের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
নিম্ন এলাকার সাধারণ জনগণকে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে আরো অগ্রসর ও ঘনীভূত হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বর্তমানে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বলে ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হতে পারে। এটা ভারতের উপকূল ঘেঁষে এলে শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগটা কম পেত। কিন্তু সাগরের মধ্যভাগ দিয়ে আসছে বলে সব দিকে শক্তি সঞ্চয় করার পরিবেশ পাচ্ছে। সুতরাং এটা আরো শক্তি সঞ্চয় করে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ রূপ নেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেটি আজ বিকেল নাগাদ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। অতি দ্রুত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূল অঞ্চলে চলে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রস্তুতি মূলক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৭৩০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড় শুকনা খাবার রয়েছে ১৫ শ’ প্যাকেট। নগদ টাকা রয়েছে ২৪ লাখ সাত হাজার টাকা ৫০০ টাকা।
এ সময় মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় মোট ৭৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষিত রয়েছে। জেলায় ১৩ শ’ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১০ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ মজুদ রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা