নাজিরপুরে মাহুতের ইঙ্গিতে হাতির চাঁদাবাজি
- আল-আমিন হোসাইন, নাজিরপুর (পিরোজপুর)
- ২৫ মে ২০২৪, ১৪:০৮
পিরোজপুরের নাজিরপুরে দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী একটি হাতি। দোকানসহ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহনই ছাড় পাচ্ছে না। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টা ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা কালিবাড়ি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকানেই সীমাবদ্ধ নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এই মাহুতকে।
উপজেলা কালিবাড়ি বাজারের একটি মুদি দোকানে হঠাৎ বিশাল দেহের হাতিটি মাহুতের ইশারা ইঙ্গিতে শুঁড় এগিয়ে দিল দোকানের মধ্যে। সাথে সাথে দোকানদার ২০ টাকা হাতিটির শুঁড়ে গুঁজে দিলেন।
টাকা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার বলেন, ‘টাকা না দিলে হাতিটি যাবে না। তাছাড়া অনেক সময় ভাঙ্চুর করে। এজন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে বিদায় করলাম।
ব্যবসায়ীরা জানায়, মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করেন তারা। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা তোলা হয়। টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান থেকে হাতি সরিয়ে নেয়া হয় না। অনেক সময় সাধারণ মানুষ, শিশু বাচ্চাসহ মহিলা ক্রেতারা হাতি দেখে ভয় পান। এতে ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহিবুল ইসলাম জানান, দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শেষ হলে হাতি রাস্তায় নামে। শুধু দোকানই না এরা চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে।
হাতির মাহুত বলেন, হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। কেউ খুশি হয়ে টাকা দিলে তা আবার চাঁদাবাজি হয় কিভাবে? তবে, আমরা কারো ওপর কোনো ধরনের জোর করি না। যার ইচ্ছে দেয় মন না চাইলে দেয় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা