মির্জাগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি, বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
- মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ০৬ মে ২০২৪, ২৩:১৮
টানা একমাস তীব্র তাবদাহের পর অবশেষে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি হচ্ছে। এতে শীতল অনুভব হচ্ছে গাছপালাসহ সকল প্রাণিকূল।
সোমবার (৬ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে দমকা হাওয়া ও শুরু হয় একটানা মুশলধারায় বৃষ্টি। দমকা হাওয়ার কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ না থাকায় চারিদিকে অন্ধকারময় হয়ে পড়ে এবং বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাটগুলো।
মির্জাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মো: মেহেদী হাসান জানান, পটুয়াখালী ৩৩ কেভি লাইনে ত্রুটির কারণে সমস্যা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির কারণে কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও আমাদের কাজ চলমান আছে।
তবে আশা করছি সমস্যা কাটিয়ে উঠিয়ে দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: নাহিদ হোসেন জানান, তীব্র তাপদাহ শেষে অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত মুসলধারে হওয়া বৃষ্টিপাতে মির্জাগঞ্জের কৃষকদের পাশাপাশি জনমনে স্বস্তির ভাব নিয়ে এসেছে। এ বৃষ্টিপাত কৃষকদের তীব্র তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত মরিচ, মুগ, বোরো ধানের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এর ফলে ৩৮০ হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া মরিচে পাতা কুকড়ে যাওয়ার সমস্যার সমাধান দেরিতে হলেও আশা জাগাচ্ছে। এছাড়া মুগের যেসব মাঠ পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছিল, সেসব মাঠে নতুন করে কিছু বাড়তি ফলনের আশা জাগাচ্ছে। বোরো ধানের চিটা হওয়া প্রতিরোধে আজকের বৃষ্টি কৃষকের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।
এছাড়া পটুয়াখালী জেলার মধ্যে মির্জাগঞ্জে সবচেয়ে বেশি আউশ ধান চাষ হয়। এ বছর সাত হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আউশধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক ইতোমধ্যে আউশের বীজতলা তৈরি করা শুরু করেছে, যার জন্য বৃষ্টি খুবই প্রত্যাশিত ছিল। আশা করা যাচ্ছে গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহে রবি শষ্যের যে ক্ষতি হয়েছে তার কিছুটা হলেও লাঘব হবে আউশধানের আগাম বীজতলা তৈরির মাধ্যমে।
সুবিদখালী কলেজিয়েট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো: মোজাম্মেল হক কামরুল তার ব্যক্তিগত ফেইসবুকে পোস্ট করেন, আলহামদুলিল্লাহ। অবশেষে আল্লাহ্ রহমতের বৃষ্টিতে শুকরিয়া আল্লাহর প্রতি। নিমিষেই প্রকৃতি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। তীব্র গরমের পর এরকম স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়িয়ে গেল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল মির্জাগঞ্জ দরবার শরীফ মাঠে তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথকভাবে ইসতেসকার নামাজের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা চেয়ে বৃষ্টির জন্য কেঁদেছেন মুসল্লিরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা