বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৭
বরগুনার পাথরঘাটা-সংলগ্ন বিষখালি নদীতে বরগুনা সদর মৎস্য বিভাগের অভিযানের সময় তিন জেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মো: রিপন (৪১) নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানান আহতরা।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে আহত রাসেল নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিষখালীর নদীর কক্ষিন কুপধোন এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ জেলে রিপন উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ কূপধোন গ্রামের মো: আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
আহত জেলে রাসেল একই এলাকার নুরু মোল্লার ছেলে এবং সুলতান হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হোসেন।
আহত জেলে রাসেল জানান, প্রতিদিনের মতো বিষখালী নদীতে মাছ শিকার করতে যায় কালমেঘা ইউনিয়নের দক্ষিন কুপধোন এলাকার দুটি ইঞ্জিন চালিত নাম বীহিন ট্রলার। জালের কাছে পৌঁছালে স্পিডবোট নিয়ে বরগুনা সদর উপজেলার মৎস্য বিভাগ অবৈধ খুঁটি অপসারণের জন্য আসে। তখন দুটি ট্রলারকে ধরে ফেলে তাদেরকে নিয়ে অভিযান করেন। পরে সকাল ৯টার দিকে নদীর মধ্যে থেকে স্পিডবোটে উঠিয়ে নেয়া রিপনকে না দেখে তাদের কাছে জানতে চান।
তারা জানান, রিপন নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে তাকে খোঁজার কথা জানালে তা না করে মৎস্য বিভাগের লোকজন চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, নিখোঁজ রিপনের কথা জানতে চাইলে লাঠি এবং বাঁশ দিয়ে রাসেল এবং দেলোয়ারকে মারধর করেন।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ‘বরগুনা সদর থেকে গতরাতে বিষখালি নদীতে অবৈধ খুঁটিগুলো অপসারণের জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় স্থানীয় কিছু জেলেরা সহযোগিতা করেছেন। তখন কোনো জেলেকে আটক করার হয় নাই। ওই সময় তাদের লেবার ছিল সাথে। এ সময় কোনো জেলে নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। তাদেরকে যে মারধর করা হয়েছে এটা সত্য না। পাথরঘাটা থেকে কিছু ছবি পাঠানো হয়েছে সেই ছবিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। ইতোমধ্যে আমি বরগুনা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা