তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৮
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের নগ্ন ও এক তরুণীর সাথে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। তিনি একটি পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান সাক্ষীও।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে ওই তরুণী ও তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বরগুনা ডিবি পুলিশ ওই তরুণী ও তার সহযোগীকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করে। এ মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয় আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারকে আর দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু।
গত বুধবার রাতে এ মামলার প্রধান সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাকের নগ্ন এবং ওই তরুণীর সাথে আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান রাজ্জাক একেবারে নগ্ন অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন। ৫২ সেকেন্ডের আরো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় চেয়ারম্যান ওই তরুণীর পা চাটছেন এবং টিপছেন। ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ওই তরুণীকে চেয়ারম্যান বাহুডেরা করে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় শুয়ে আছেন।
এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তার শাস্তি দাবি করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কয়েকজন বলেন, একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে কার কাছে আমরা নিরাপদ। চেয়ারম্যানের এমন ঘৃণীত কর্মকাণ্ডের শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে এমন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা: রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। সঠিক অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা