পাথরঘাটায় ২২০ কেজি হরিণের গোশতসহ আটক ৩
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৫
বরগুনার পাথরঘাটার বিষখালী নদী থেকে ২২০ কেজি হরিণের গোশত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটার সদস্যরা। এ সময় তিন পাচারকারীরে আটক করা হয়।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরিণঘাটা বনে অভিযান চালালে চোরা করবারিরা পালানোর সময়বিষখালী নদী থেকে আটক করে। কোস্টগার্ডের দক্ষিণজোন কন্টিজেন্ট কমান্ডার ফিরোজ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৪৫), আব্দুল হকের ছেলে হারুন (৩৫) ও একই ইউনিয়নের খলিফাহাট এলাকার আব্দুল করিম হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫)।
ফিরোজ জামান জানান, সুন্দরবন থেকে হরিণ নিয়ে বিষখালি নদী দিয়ে পাথরঘাটায় আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হরিনঘাটা বনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি চোরাকারবারীরা টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরিণঘাটা বনের দক্ষিণের বিষখালী নদী থেকে আটক করা হয়। এ সময় দু‘জন পালিয়ে গেলেও ট্রলার তল্লাশি করে হরিণের তিনটি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের গোশতসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে গোশতগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক আফজাল হোসেন জানান, গত পাঁচ দিন আগে পাথরঘাটার বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারের জন্য যান তারা। পরপর দু‘দিন মাছ না পেয়ে মাঝি আবুল বাশারের নির্দেশে সুন্দরবন প্রবেশ করে হরিণ শিকার করেন। সেখান থেকে দশটি হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে সোমবার সকালে বিষখালি নদী হয়ে পাথরঘাটার দিকে আসে তারা। কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে রশিদ শিকদারের ছেলে আবুল বাসার মাঝি ও সাহাদাত হোসেন পালিয়ে যান।
বনবিভাগের হরিণঘাটা বিট কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, উদ্ধার হওয়া তিনটি মাথা ও ২২০ কেজি হরিণের গোশত বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। গোশতগুলো বিকেল ৫টায় আদালতের নির্দেশে কেরোসিন দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দিয়ে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা