১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পিরোজপুরে অবস্থানরত কুমিরটির ক্ষতি না করার আহ্বান আইইউসিএন কর্মকর্তার

পিরোজপুরে অবস্থানরত কুমিরটির ক্ষতি না করার আহ্বান আইইউসিএন কর্মকর্তার - ছবি : নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরে অবস্থানরত স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমিরটিকে ক্ষতি না করার আহ্বান জানিয়েছেন আইইউসিএন কর্মকর্তা সরোয়ার আলম দীপু।

কুমিরটি জেলেদের জালে আটকে গেলে বা কোথাও ধরা পড়লে এর ক্ষতি না করে সাথে সাথে বন বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কুমিরটি মারা গেলে তাদের গবেষণার কাজ ব্যাহত হবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে নয়া দিগন্তের এই সংবাদদাতার সাথে ফোনে আলাপকালে জেলেদের উদ্দেশে এই অনুরোধের কথা বলেন তিনি।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে গত ১৬ মার্চ পিঠে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টে নোনা প্রজাতির চারটি কুমির অবমুক্ত করে। এর একটি মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে ২৭ মার্চ পিরোজপুরের তুষখালী এলাকার বলেশ্বর নদে এসে অবস্থান করে।

পরে কুমিরটি দুই দিন আগে সেখান থেকে অবস্থান পরিবর্তন করে বর্তমানে পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর তুষখালী মোহনা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে ইন্দুরকানীর ছোট নদীতে আবার কখনো ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী ফেরীঘাট ও নদমূলা-সংলগ্ন নদীতে অবস্থান করছে। এটি জোয়ার ভাটার সময় ওঠা নামা করছে।

আইইউসিএনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সরোয়ার আলম দীপু নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায় কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার জন্য কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগিয়ে ছাড়া হয়েছে। কুমিরটি বর্তমানে পূবের্র অবস্থান থেকে উত্তরে বাম দিকের একটা ছোট নদীতে (ইন্দুরকানীর নদী) অবস্থান করছে। এটা আবার সুন্দরবনে ফিরে যাবে বলে আশা করছি।’

‘কুমির আসার খবরে স্থানীয় নদীতীরের বাসিন্দারা আতঙ্কিত’ এমন কথার জবাবে জনাব দীপু বলেন, ‘এটা একটা ছোট কুমির। এটা এত ছোট যে কারো ক্ষতি করতে পারবে না। এটা নিয়ে নদীপাড়ের মানুষের আতঙ্কিত হবার কিছু নাই। বরং আমরা আতঙ্কে আছি যে জেলেদের জালে পেচিয়ে কুমিরটির কোনো ক্ষতি না হয়।

তিনি আরো বলেন, সুন্দরবনে এত কুমির, তার দুই একটা যে ওই নদীতে নাই এমন কোনো নিশ্চয়তা কি আছে। তাই নদীতীরের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হবার অনুরোধ করেছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement