২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেতাগীতে ইউপি ভবন থেকে জেলেদের সরকারি চাল জব্দ

বেতাগীতে ইউপি ভবন থেকে জেলেদার সরকারি চাল জব্দ। - ছবি: নয়া দিগন্ত

বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দ হওয়া অবিতরণকৃত সরকারি ভিজিএফের ১১০ বস্তা চাল মজুদ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন। তবে ৩১ জন জেলে সময় মতো চাল নিতে না আসায় তাদের চাল বিতরণ করা হয়নি এমন দাবি করে ৮৩ বস্তা চাল বাদ দিয়ে ২৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পরে ওই ২৭ বস্তা চাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের জিম্মায় রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ অভিযান চালিয়ে এই চাল জব্দ করেন।

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাটকা ধরা বন্ধে সরকার দেশের উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরার ওপর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ সময়ে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল দেয়া হয়। বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫৪০ জন জেলেদের জন্য এই চাল দেয়া হয়।

অভিযান চলাকালে সরেজমিনে সদর ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি কক্ষে ১১০ বস্তা ভিজিএফের চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ইউএনও জেলের চাল বিতরণের মাস্টার রোল দেখতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব ৫০৯ জনের চাল বিতরণের তালিকা দেখান। এ সময় বাকি ৩১ জন জেলের চাল প্রাপ্তির কোনো হিসেব তারা দেখাতে পারেননি। তবে তাদের দাবি এই জেলেরা সময় মতো চাল নিতে আসেনি।

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সমাপ্তি সাহা বলেন, আমি জেনেছি ইতোমধ্যে সদর ইউনিয়নে সব জেলেদের চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। আমার কাছে আজ এর মাস্টার রোল দেয়ার কথা ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সকল ওয়ার্ডের চাল বিতরণ শেষ হয়েছে। চেয়ারম্যান আত্মসাৎতের উদ্দেশে চালগুলো মজুদ করেছে।

বেতাগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমায়ূন কবির খলিফা বলেন, ২৭ বস্তা চাল ইউএনও স্যার জব্দ করেছেন। ভলেন্টিয়ারদের এই চালগুলো দেয়ার কথা ছিল।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফারুক আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৭ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement