২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জলদস্যুদের হামলায় অরক্ষিত রাতের মেঘনা, কোস্টগার্ড নৌ-পুলিশের টহলের দাবি জেলেদের

জলদস্যুদের হামলায় অরক্ষিত রাতের মেঘনা, কোস্টগার্ড নৌ-পুলিশের টহলের দাবি জেলেদের। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে জেলেদের ১৫টি ট্রলারের মাছ, মোবাইল ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে। অপহরণ করে নিয়ে গেছে ১৫ ট্রলারে মাঝি ও মালিককে। তাই রাতের অরক্ষিত মেঘনার জন্য উপকূলের মৎস্যজীবী জেলে-আড়তদাররা কোস্টগার্ড নৌ-পুলিশের টহলের দাবি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চরজহিরউদ্দিন ও চরমোজাম্মল এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি ও জেলে পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতের বেলা জলদস্যুরা ঘুমন্ত জেলেদের মাছ ধরার ১৫টি ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ, জাল, মোবাইল ও নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মহিষখালী ও শশীগঞ্জ মাছ ঘাটের সিরাজ মেম্বারের আড়তের হান্নান মাঝি, মহিউদ্দিন পোদ্দারের আড়তের লোকমান মাঝি, আমিন মহাজানের আড়তের মিরাজ মাঝি, বাবুল মীরের আড়তের হাশেম মাঝি, মনির তালুকদারের আরতের আরিফ মাঝি, মিজান দালালের আড়তের আলাউদ্দিন ও হাসান মাঝি, নূরনবি দালালের আরতের সালাউদ্দিন মাঝি, আলাউদ্দিন দালালের আড়তের ইউসুফ মাঝিসহ ১৫ জন মাঝি ও নৌকার মালিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ফোন করে পরিবারে সদস্যদের কাছে জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় জলদস্যুদের এলোপাথাড়ি মারপিটে রফিক, মান্নান, আলম, মিরাজ, কালামসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে নদীতে মাছ কম, অন্যদিকে তেলের দাম বেশি। এরপর মরার উপর খাঁড়ার ঘা, জলদস্যুরা কিছুদিন পরপরই ডাকাতি ও অপহরণ করে। দুই একজন জলদস্যুকে আটক করে হাজতে পাঠালেও তারা দ্রুত জামিনে বেরিয়ে এসে আবার ডাকাতি করে।

তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কমান্ডার বলেন, অপহরণকারীদের মোবাইল নাম্বার পেলে ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চলবে। ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

হাকিমুদ্দিন নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আড়তদার ও জেলেদের মাধ্যমে অপহরণের খবর শুনেছি। রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement