২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গনিত শিক্ষক না থাকায় প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি

গনিত শিক্ষক না থাকায় প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি - ছবি : নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দাশপাড়া আব্দুল গনি মহিলা দাখিল মাদরাসায় গনিত শিক্ষক না থাকায় এ বছর দাখিল পরীক্ষায় কোনো ছাত্রী পাস করেনি। ওই মাদরাসায় এ বছর ২২ জন ছাত্রী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়।

সোমবার দুপুরে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ছাত্রীরা মাদরাসায় এসে জানতে পারেন তারা কেউ পাস করেনি। এ সময় শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পরেন।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদরাসা থেকে ২২ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। গতকাল এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি।

মাদরাসার সহকারী সুপার মো: মজিবুর রহমান বলেন, মাদরাসায় গণিতের শিক্ষক ছিল না, তাই সব ছাত্রীরা গণিতে ফেল করেছে। এ ছাড়া করোনা মহামারীতে দু’বছর তাদের শিক্ষা জীবন থেমে থাকাকে দায়ী করছেন এ শিক্ষক।

মাদরাসা সুপার কাজী মো: আলতাফ হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সেলিম মিয়া বলেন, আইন অনুযায়ী পর পর তিন বছর ওই মাদরাসায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস না করলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ করা যায়। সামনের পরীক্ষায় যাতে ওই মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা পাস করে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ওই মাদরাসার ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement