২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ, লঞ্চ ভাংচুর আ’লীগের

এমভি আওলাদ লঞ্চে লুটপাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় এমভি আওলাদ লঞ্চে লুটপাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে।

বুধবার রাত ১১টার পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে রাত ১২টার সময় ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে ভোলা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী এমভি আওলাদ লঞ্চে লুটপাট ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

এমভি আওলাদ লঞ্চের মালিক ও ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো: ইব্রাহিম খলিল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার মালিকানাধীন লঞ্চে ভাংচুর করে এবং লুট করে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার ভোরের পর থেকে ভোলার ভেদুরিয়া ঘাট থেকে আর কোনো লঞ্চ ও স্পিডবোট ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রয়োজনের তাগিদে ঘাটে এসেও ফিরে গেছেন অনেকে। বর্তমানে পুরো ঘাটই ফাঁকা।

ভোলা লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি জানান, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নাশকতা হতে পারে। এমন আশঙ্কায় তারা লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

তিনি আরো বলেন, সকাল থেকে ভোলা থেকে বরিশালের উদ্দেশে কোনো লঞ্চ যাচ্ছে না। তাদের উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে যেকোনো সময় হামলা হতে পারে। তাই নৌ-যানের নিরাপত্তায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি রোগীদের আনা-নেয়ার জন্য কিছু বোট চালু থাকবে। সবকিছু নির্ভর করছে পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ‘বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এমভি আওলাদ লঞ্চ লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীদের প্রতিরোধ, হামলা ও আটক করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে, ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে শত শত বোট ও লঞ্চ। সেখানে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা।


আরো সংবাদ



premium cement