২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সরকারী টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় - ছবি - নয়া দিগন্ত

কুয়াকাটায় ঈদে মিলাদুন্নবী, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একটানা পাঁচ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত কুয়াকাটা।

গতকাল বুধবার বিকেল থেকেই সৈকতে দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটকদের এমন ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ রিসোর্ট ও হোটেল রুম। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।

আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে মিতালীতে মেতে উঠছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পূজা উদযাপন, সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানী আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরণ দেখতে এসব পর্যটকদের বিরামহীন ছুটে চলা। রাখাইন মার্কেট, ঝিঁনুক মার্কেট, শুটকী পল্লী, খাবার হোটেলসহ বাহারী পণ্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি।

এই পর্যটন নগরীর সবচেয়ে বড় বাধা ছিল সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর কেটে গেছে সব বাধা। যোগাযোগ সুবিধার কারণে ভিড় বেড়েছে পর্যটকদের। ছোট বড় মিলিয়ে দেড়'শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিনগুলোতে রুম পাচ্ছে না পর্যটকরা। আশপাশের বাড়িগুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেয়া হলেও তাতেও জায়গা হচ্ছে না। তাই অনেকে রাত্রি যাপন করে সৈকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়।

আগে যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল-রিসোর্ট খালি পরে থাকতো, সেখানে এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল রিসোর্ট নির্মাণ সহ বিনিয়োগের দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।


আরো সংবাদ



premium cement