২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিনা বেতনে ২২ বছর ধরে পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা : মানবেতর জীবনযাপন

বিনা বেতনে ২২ বছর ধরে পড়াচ্ছেন শিক্ষকরা : মানবেতর জীবনযাপন - ছবি : সংগৃহীত

বিনা বেতনে ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বিজিএস বালিকা দাখিল মাদরাসার শিক্ষকরা। এমপিওভূক্তির আশায় আশায় খেয়ে না খেয়ে তারা বছরের পর বছর ধরে এই পেশায় থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ প্রতি বছর দাখিল পরীক্ষায় এই মাদরাসা থেকে শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফলও করে থাকে।

বুধবার প্রকাশিত নতুন এমপিওভূক্তি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম নেই এই প্রতিষ্ঠানের।

১৯৮০ সালে উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ঘোষেরহাট-ভবানীপুর সম্মিলিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাটি ২০০১ সালে এলাকায় নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষে বিজিএস বালিকা দাখিল মাদরাসা নামে দাখিল মাদরাসায় পুন:প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০১ সালেই মাদরাসাটি ৯ম শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি পায়। ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো ওই মাদরাসা থেকে শিক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়া শুরু করে। তখন থেকেই প্রতি বছর ওই মাদরাসা তেকে দাখিল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করে থাকে। ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষায় এ মাদরাসার পাশের হার ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। মাদরাসায় বর্তমানে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। এখানে ১১ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। বর্তমান সীমাহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে খেয়ে না খেয়ে শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান মারা গেলে ২০১৪ সালে মাদরাসাটির হাল ধরেন বর্তমান সুপার মাওলানা শাহআলম।

মাদরাসার সুপার মাওলানা শাহ আলম বলেন, ২০০১ সাল থেকে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে আসছি। এমপিওভূক্তির আশায় আশায় কেটে গেছে ২২টি বছর। অনেক শিক্ষক কর্মচারীরা এখন হতাশায় ভুগছে। তারা এই শেষ বয়সে এখন কোথায় যাবেন, কী করবেন?। মানবিক কারণে হলেও সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানটির এমপিওভূক্তির দাবি করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর একেএম আবুল খায়ের বলেন, বিজিএস দাখিল মাদরাসাটি একটি ননএমপিও প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ দিন ধরে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement