২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীতে চোখ ওঠা রোগের আতঙ্ক

উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীতে চোখ ওঠা রোগের আতঙ্ক - প্রতীকী ছবি

উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলায় চোখ ওঠা (ভাইরাল কনজংটিভাইটি) রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে চোখের ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফার্মেসিতে ঘুরেও ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীর স্বজনরা। দু-একটি ফার্মেসিতে পেলেও তা উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীতে মানুষের মাঝে চোখ ওঠা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রোগীরা স্থানীয়ভাবে ও হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

গত এক সপ্তাহে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিলেও অনেকে ভয়ে হাসপাতালে আসছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপকূলের সর্বত্র এ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় প্রতি ঘরে চোখ ওঠা রোগ দেখা দিয়েছে। সেই সুযোগে ওষুধ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বেশী মূল্যে ওষধ বিক্রি করছেন। ১৪০ টাকার মেডিসিন (মক্সিফোক্সাসিন) ড্রোপ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা জান্নাত বলেন, তিন দিন ধরে চোখের ব্যথায় ভুগছি। কবে ভালো হবে জানি না। চোখ ফুলে লাল হয়ে ওঠে পানি পড়ছে। তাকাতে পারছি না ও চোখে ময়লা জমছে।

ছোটবগী গ্রামের মো: নজরুল ইসলাম ডাকুয়া বলেন, বাড়ির সকলেই চোখ ওঠা রোগে ভুগছে। হাসপাতালে ওষুধ নেই। ফার্মেসিতে ওষুধ খুঁজে পাচ্ছি না। দু-একটি ফার্মেসিতে পেলেও দাম অনেক।

কাউনিয়া গ্রামের মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম বলেন, চোখ ওঠা রোগীর অভাব নেই। প্রত্যেক ঘরেই চোখ ওঠা রোগী।

মো: সবুজ মিয়া বলেন, ফার্মেসি থেকে চোখের মেডিসিন ১৭০ টাকায় ক্রয় করেছি। কিন্তু ওষুদের লেখা রয়েছে ১৪০ টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে চোখের ওষুধের সরবরাহ নেই। ওষুধ কিনতে আসলেও রোগীর স্বজনদের দিতে পারছি না।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: সুমন খন্দকার বলেন, অল্পতেই ছড়িয়ে পড়েছে চোখ ওঠা রোগ। গত এক সপ্তাহে ১৬০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে পরিষ্কার পরিছন্ন, চোখে পানি না লাগানো, বারবার চোখে হাত না দেয়া, অসুখ হলে ঘর থেকে বের না হওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলাসহ সাতটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। এ নিয়মগুলো মেনে চললেই চোখ ওঠা রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, এ রোগ সচারচার থাকলেও গত এক সপ্তাহে ১৫-২০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement