২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুলাদীতে ভাঙা সেতু দিয়ে পারাপারে ভোগান্তি

মুলাদীতে ভাঙা সেতু দিয়ে পারাপারে ভোগান্তি - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালের মুলাদী সদর ইউনিয়নের দড়িচর লক্ষীপুর গ্রামে ছয় থেকে সাত বছর আগে একটি লোহার সেতু নির্মাণ করা হলে এক বছর পরই সেতুর দু’পাশের লোহার খুঁটি ডেবে যায় এবং পাটাতন হেলে পড়ে। সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ফলে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেতুটি।

স্থানীয় আবদুল খালেক ও জয়নাল আবেদীন বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প যাতায়াতের পথ না থাকায় বাঁশ ও গাছ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে এলাকার ছেলে-মেয়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় যাতায়াত করে।

একই গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বলেন, ‘বৃহত্তর খাসেরহাট বন্দর, মুলাদী বন্দরে যেতে হলে সেতুটি পার হতে হয়। এটি ভেঙে যাওয়ায় ভ্যান চলাচল করতে পারছে না। অনেক কষ্টে মাথায় করে মালামাল পারাপার করতে হচ্ছে। গরু, ছাগল ও মালামাল পারাপারে অনেক ভোগান্তি হয়। দীর্ঘ দিন সেতুটি ভাঙা থাকায় খাল দিয়ে মালবাহী নৌকা বা ট্রলার চলাচল করতে পারে না।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাকায়েত হোসেন মল্লিক বলেন, ‘সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভেঙে যাওয়ার পর আর সংস্কার না করায় মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সেতুটি সংস্কারের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।’

ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘কাঠেরপুল এলাকায় পুরনো সেতু ভেঙে একটি নতুন সেতু নির্মাণের চেষ্টা চলছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে চাহিদা দেয়া হয়েছে। নতুন সেতু নির্মাণে বিলম্ব হলে ভাঙা সেতুটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের প্রকৌশলী মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দপ্রাপ্তির জন্য বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement