২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দশমিনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দশমিনায় জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। - ছবি : নয়া দিগন্ত

পূর্ণিমার জোয়ার এবং সাত দিনের ধারাবাহিক বর্ষণে পটুয়াখালীর দশমিনায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানিতে উপকূলীয় এলাকাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও তিন থেকে চার ফুট পানি জমেছে। এতে ওই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সোমবার সকালে সরেজমিনে চরবোরহান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জোয়ারের পানিতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়াও পানিতে ডুবে রয়েছে ১১টি প্রাথমিক ও তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ পাগলা বাজার, সেন্টার বাজার, চরশাহজালাল বাজারসহ বেশ কয়েকটি হাট-বাজার।

চরবোরহান ইউনিয়নে বিদ্যালয়গুলোর সাথে প্রধান সড়কের সংযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা শুরুতে কলার ভেলা ও নৌকায় করে বিদ্যালয়ে গেলেও পরে পানির ভয়াবহতা বাড়তে থাকলে শিক্ষকরা বিদ্যালয় বন্ধ করে দেন। এ ছাড়াও ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের এবং ২০ হাজার একর জমির আমন বীজতলা ডুবে গেছে।

চরবোরহান ইউনিয়নের ১৩৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: সোহাগ হোসেন বলেন, সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি পানিতে ডুবে গেছে।

চরবোরহান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো: ফরহাদ হোসেন বলেন, তাড়াতাড়ি পানি বেড়ে যাওয়ায় হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়েছেন। এসব নিয়ে তারা আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না।

চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজির আহমেদ সরদার বলেন, প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে হয় এ ইউনিয়নের মানুষদের। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ছুটেও কোনো কাজ হয়নি। বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে এলাকার মানুষ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া চরবোরহানে পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement